নেপালে দুর্নীতি ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাপ নিষিদ্ধের প্রতিবাদে শুরু হওয়া ‘জেন-জি আন্দোলন’ ক্রমেই রক্তক্ষয়ী রূপ নিচ্ছে। সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাত পৌনে সাতটা পর্যন্ত পুলিশের গুলিতে কমপক্ষে ১৯ জন নিহত হওয়ার খবর দিয়েছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিমালয় টাইমস।
শতাধিক বিক্ষোভকারী, সাংবাদিক ও নিরাপত্তাকর্মী আহত হয়েছেন। তাদের অনেকেই কাঠমান্ডুর বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
রাজধানী কাঠমান্ডুতে ক্ষুব্ধ বিক্ষোভকারীরা কারফিউ ভেঙে সংসদের সংরক্ষিত এলাকায় প্রবেশের চেষ্টা করলে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। এরপর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনা মোতায়েন করা হয়।
কাঠমান্ডুর জেলা প্রশাসন দুপুর ১২টা ৩০ মিনিট থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত বানেশ্বরসহ আশপাশের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় কারফিউ ঘোষণা করেছে। প্রধান জেলা কর্মকর্তা ছবি রিজাল স্বাক্ষরিত নোটিশে স্থানীয় প্রশাসন আইন ২০২৮-এর ৬(এ) ধারা অনুযায়ী এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
রয়টার্স জানিয়েছে, গত ৪ সেপ্টেম্বর থেকে নেপাল সরকার ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউবসহ ২৬টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম বন্ধ করে দেয়। সরকারের এই সিদ্ধান্তই তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ক্ষোভ বাড়িয়ে দেয়। সোমবার সকালে বাণেশ্বর এলাকায় প্রথম বিক্ষোভ শুরু হলেও কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তা ছড়িয়ে পড়ে রাজধানীর সর্বত্র।
একুশে সংবাদ/বা.প্র/এ.জে