পাকিস্তানে টানা মৌসুমি বর্ষণে পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। পাহাড়ি অঞ্চল থেকে শুরু করে সমতল এলাকায় আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসে বহু মানুষের জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। স্থানীয় প্রশাসন উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম চালালেও প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে তা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে ২৩ জন এবং পাকিস্তান-শাসিত কাশ্মীরে আরও সাতজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। প্রাদেশিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে, বাজাউর জেলায় মেঘ ভাঙনের ঘটনায় কয়েকটি ঘরবাড়ি ধসে পড়ে, এতে অন্তত ১৬ জন নিহত ও ২০ জনের বেশি মানুষ ধ্বংসস্তূপে আটকা পড়েন। আবহাওয়া বিভাগ সতর্ক করে জানিয়েছে, বৃষ্টিপাত আরও বাড়তে পারে।
উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে অতিবৃষ্টির কারণে সড়ক ও বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যাহত হয়েছে। পাহাড়ি ঢাল বেয়ে নেমে আসা পানির স্রোতে গ্রামীণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে, ফলে শত শত পরিবার বাস্তুচ্যুত হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উদ্ধারকর্মীরা নৌকা ও ভারী যন্ত্র ব্যবহার করে আটকা পড়াদের উদ্ধারে চেষ্টা চালাচ্ছেন, কিন্তু অব্যাহত বর্ষণ তাতে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
দক্ষিণ এশিয়ার বর্ষা মৌসুমে সাধারণত মোট বৃষ্টিপাতের ৭০–৮০ শতাংশ হয়ে থাকে। কৃষি ও খাদ্য উৎপাদনের জন্য তা গুরুত্বপূর্ণ হলেও, প্রায়ই প্রাণহানি ও বিপুল ক্ষয়ক্ষতির কারণ হয়। ২০২২ সালের ভয়াবহ বন্যায় পাকিস্তানের এক-তৃতীয়াংশ এলাকা প্লাবিত হয়েছিল এবং প্রায় ১,৭০০ মানুষ প্রাণ হারিয়েছিল।
একুশে সংবাদ/এ.জে