ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর পাকিস্তানের জনবহুল প্রদেশ পাঞ্জাবে বুধবার (৭ মে) জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মরিয়ম নওয়াজ শরিফ এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন এবং বিপর্যয় মোকাবিলায় সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়ার পাশাপাশি হাসপাতাল ও জরুরি সেবা ইউনিটগুলো উচ্চ সতর্কতায় রাখা হয়েছে।
তাঁর ভাষ্য, “জনগণ আমাদের সৈন্যদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়িয়েছে। ভারত হয়তো এই হামলা শুরু করেছে, কিন্তু আমরা শান্তি চাই—সম্মানের সঙ্গে। যদি যুদ্ধ চাপিয়ে দেওয়া হয়, তবে পুরো দেশ ঐক্যবদ্ধ হয়ে দাঁড়াবে।” মন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, সব চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের ছুটি বাতিল ও বেসামরিক সিভিল ডিফেন্স সদস্যদের দায়িত্বস্থলে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
এর আগে ভারত জানিয়েছে, ‘অপারেশন সিন্দুর’ অভিযানে পাকিস্তান ও পাকিস্তান-নিয়ন্ত্রিত আজাদ কাশ্মিরের নয়টি স্থানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে, তবে কোনো সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্যবস্তু হয়নি। পাকিস্তানের সেনাবাহিনী দাবি করেছে, ছয়টি এলাকা—ভাওয়ালপুরের আহমেদপুর শরকিয়া, মুরিদকে, শিয়ালকোট, শকরগড় এবং কোটলি ও মুজাফফরাবাদে—২৪টি স্থাপনে হামলা চালানো হয়। এতে অন্তত ৮ জন নিহত ও ৩৫ জন আহত হয়েছে।
পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী রয়টার্সকে জানিয়েছেন, “এখন পর্যন্ত ভারতের পাঁচটি আকাশযান—তিনটি রাফাল, একটি এসইউ-৩০, একটি মিগ-২৯ এবং একটি হেরন ড্রোন—ভূপাতিত করা হয়েছে।” পাল্টা ব্যবস্থায় দেশজুড়ে নিরাপত্তা জোরদার করতে এই জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
উত্তেজনা ক্রমশ বাড়তে থাকায় আগামী কয়েকদিন যাবৎ পরিস্থিতি মনিটর করা হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা থাকাকালীন গৃহীত অন্যান্য পদক্ষেপ ও পরিস্থিতি দেখে আপডেট গৃহীত হবে।
একুশে সংবাদ/য.ট/এ.জে
আপনার মতামত লিখুন :