সীমান্তবর্তী একটি স্পর্শকাতর অঞ্চলে অবস্থিত বিতর্কিত খেমার মন্দিরে একদল কম্বোডিয় নারীর জাতীয়তাবাদী সঙ্গীত পরিবেশনের ভিডিও প্রকাশের পর থাইল্যান্ড আনুষ্ঠানিকভাবে কম্বোডিয়ার কাছে এর প্রতিবাদ করেছে।থাইল্যান্ডের ব্যাংকক থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।
পূর্ব থাইল্যান্ডের প্রসাত তা মুয়েন থমে ধারণ করা ভিডিও ফুটেজে ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরিহিত কম্বোডিয়ার নারীদের একটি দলকে গান গাইতে দেখা যাচ্ছে। তারা ’যুদ্ধরত রক্তস্নাত দেশে/খেমার জাতির তৈরি সবাই/ মরতে হেসে হেসে’ এই গান গাইতে ছিলেন।
মন্দিরে পাহারারত থাই সৈন্যরা পরে সীমান্তের ঠিক পাশে অবস্থিত একাদশ শতাব্দীর মন্দির থেকে নারীদের কম্বোডিয়ার দিকে নিয়ে যায়।থাইল্যান্ডের উপ-প্রধানমন্ত্রী ফুমথাম ওয়েচায়াচাই সোমবার এই ঘটনাকে ’অস্বস্তিকর’ বলে উল্লেখ করে একটি প্রতিবাদ পত্র পাঠিয়েছেন।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমরা চিন্তিত যে ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটবে।এটি স্পষ্টতই ১৫ বছর আগে থাইল্যান্ড এবং কম্বোডিয়ার মধ্যে প্রিয়াহ ভিহার মন্দিরকে কেন্দ্র করে সংঘটিত রক্তক্ষয়ী সামরিক সংঘর্ষের ইঙ্গিত। যা একই সীমান্তের প্রায় ১৫০ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত।
প্রিয়াহ ভিহিয়ারের পাশের জমির এক টুকরো নিয়ে বিরোধের ফলে বেশ কয়েক বছর ধরে বিক্ষিপ্ত সহিংসতা দেখা দেয়। বিক্ষিপ্ত সহিংসতায় কমপক্ষে ২৮ জন মারা যায়। আন্তর্জাতিক বিচার আদালত বিতর্কিত এলাকাটি কম্বোডিয়ার বলে রায় দেয়।এই অঞ্চলের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত একটি থাই টাস্ক ফোর্স কম্বোডিয় পর্যটকদের কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে একটি চিঠি জারি করেছে।
সুরানারি টাস্ক ফোর্স সতর্ক করে বলেছে, এটি দুই দেশের মধ্যে আন্তর্জাতিক সম্পর্ককে প্রভাবিত করতে পারে।প্রসাত তা মুয়েন থম নির্মাণ করেছিলেন একাদশ থেকে ত্রয়োদশ শতাব্দী পর্যন্ত এই অঞ্চলের উপর আধিপত্য বিস্তারকারী খেমার সাম্রাজ্যের রাজা সপ্তম জয়বর্মণ।কম্বোডিয়ার সরকার এখনও এই বিষয়ে কোন মন্তব্য করেনি।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :