দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলের বিরুদ্ধে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। আজ সোমবার (৯ ডিসেম্বর) দেশটির আইন মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তার বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সামরিক আইন জারি এবং জনগণের চাপের মুখে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তা প্রত্যাহার করার পর অভিশংসনের মুখে পড়েন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট। যদিও দক্ষিণ কোরিয়ার পার্লামেন্টে বিরোধী দলের আনা প্রেসিডেন্টের অভিশংসন বিল খারিজ হয়ে গেছে। এরপরও নানামুখী চাপে রয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট। এবার তার বিরুদ্ধে বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রেসিডেন্ট ও তাদের পরিবারের সদস্যসহ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা তদন্তের জন্য ২০২১ সালে একটি প্যানেল গঠন করা হয়। যদিও প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে মামলা করার ক্ষমতা এই প্রতিষ্ঠানের নেই।
সোমবার এ সংক্রান্ত একটি শুনানিতে তদন্ত কমিটির প্রধান ওহ ডং-উন প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলের বিরুদ্ধে বিদেশ ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেন। দেশটির আইন মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বে সাং-আপ বলেন, প্রেসিডেন্টর বিরুদ্ধে দেয়া ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার আদেশ কার্যকর করা হয়েছে।
গত ৩ ডিসেম্বর রাতে হঠাৎ করেই সামরিক আইন জারি করেন ইউন। তার এই সিদ্ধান্ত বিরোধীদের প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়ে। বিক্ষোভের মুখে সামরিক আইন বাতিল করতে বাধ্য হন ইউন। কিন্তু এরপর তার বিরুদ্ধে অভিশংসনের দাবি ওঠে। পদত্যাগের দাবিতে শুরু হয় বিক্ষোভ।
সামরিক আইন জারির ঘটনায় ৭ ডিসেম্বর জাতির কাছে ক্ষমা চান ইউন। টেলিভিশনে দেয়া এক সংক্ষিপ্ত ভাষণে তিনি বলেন, ‘আমি খুবই দুঃখিত এবং সামরিক আইন জারির ঘটনায় আন্তরিকভাবে ক্ষমা চাইছি। দেশে সামরিক আইন জারির মতো এমন ঘটনা আর কখনও হবে না।’
ক্ষমা চাওয়ার পরও এদিন পার্লামেন্টে অভিশংসন ভোটের আয়োজন করা হয়। তবে ইউনের দলের আইনপ্রণেতারা ভোট বয়কট করেন। রয়টার্সের প্রতিবেদন মতে, প্রেসিডেন্টের অভিশংসনের জন্য ২০০ আইনপ্রণেতার ভোটের প্রয়োজন। তবে ভোট পড়েছে মাত্র ১৯৫টি। ফলে অভিশংসন প্রস্তাব বাতিল হয়ে যায়।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :