নিজেকে ইসরাইলের রক্ষক দাবি করে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী না হলে ইহুদি-আমেরিকান ভোটারদের পস্তাতে হবে। এছাড়া দুই বছরের মধ্যে ইসরাইলের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাবে বলেও মন্তব্য করেন রিপাবলিকান এই প্রার্থী। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসির এক সম্মেলনে অংশ নিয়ে এ কথা বলেন ট্রাম্প।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ওয়াশিংটন ডিসিতে মার্কিন ইহুদিদের জাতীয় সম্মেলনে অংশ নেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। এসময় দুঃখ প্রকাশ করে তিনি বলেন, আমেরিকান ইহুদিদের মাঝে হ্যারিসকে সমর্থন করার প্রবণতা দেখছেন তিনি। কামালা জয়ী হলে দুই বছরের মধ্যে ইসরাইলের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাবে বলে সতর্ক করেন তিনি।
ট্রাম্প বলেন, ‘পৃথিবীর মানচিত্র থেকে ইসরাইলের নাম মুছে যাবে যদি আমি জয়ী না হতে পারি। এটি অত্যন্ত ভয়ংকর একটি বিবৃতি। আমার কাছে এমনটাই মনে হয়। এখানে উপস্থিত অনেকেই আমার সঙ্গে একমত প্রকাশ করবে।’
সম্প্রতি একটি গবেষণায় দেখা গেছে, ট্রাম্পের চেয়ে কামালার পক্ষে আমেরিকান ইহুদিদের সমর্থন বেশি। ওই জরিপে কমলা ৬৫ এবং ৩৪ শতাংশ সমর্থন ছিল ট্রাম্পের পক্ষে।
একদিকে যেমন নিজের পাল্লা ভারি করতে ব্যস্ত ট্রাম্প, অন্যদিকে অত্যন্ত সূক্ষ্মভাবে মার্কিনদের মনে জায়গা করে নিতে তৎপর ডেমোক্র্যাট শিবিরের প্রার্থী কামালা হ্যারিসও।
বৃহস্পতিবার মিশিগানের ফার্মিংটন হিলসে জনপ্রিয় টিভি উপস্থাপিকা অপরাহ উইনফ্রেরের সঙ্গে একটি প্রচারণা অনুষ্ঠানে অংশ নেন এই প্রার্থী। এসময় যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাধিতে পরিণত হওয়া বন্দুক সহিংসতা বন্ধের ওপর গুরুত্ব দেন তিনি।
কামালা হ্যারিস বলেন, ‘আমাদের বাচ্চারা স্কুলে বন্দুক চালানোর মহড়া করে। তাদের উদ্বিগ থাকতে হয় কখন স্কুলে কেউ তাদের মেরে ফেলবে। এটি কোন সুশীল সমাজের লক্ষণ নয়।’
একদিকে ট্যাক্স কমানো, বিনিয়োগ বাড়ানো, চাকরি সুযোগ সৃষ্টিকে প্রাধান্য দিচ্ছেন ট্রাম্প অন্যদিকে মধ্যবিত্তদের জীবন মানের উন্নতি, বিত্তশালীদের আয়কর বাড়ানো, বন্দুক সহিংসতা বন্ধের দিকে জোর দিচ্ছেন কামালা। তবে এদের দুজনের কারোর মধ্যেই জোরালো অর্থনৈতিক পরিকল্পনা নেই বলে মনে করেন মার্কিনরা। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে এপি- এন.ও.আর.সি জরিপে উঠে এসেছে এ তথ্য।
একুশে সংবাদ/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :