র্যাব-৮, সিপিসি-১ পটুয়াখালী ক্যাম্প এবং র্যাব -৪ সিপিসি-৩, এর যৌথ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আজ শনিবার (২৫ অক্টোবর) আনুমানিক পৌনে ৩টার দিকে বরগুনা জেলার বেতাগী উপজেলার কাহেলঘাটা এলাকার জব্বার শিকদার এর বাড়ীর সামনে পাঁকা রাস্তার উপর হতে ধর্ষণ ও ধর্ষণ পরবর্তী আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলার প্রধান পলাতক আসামি তুষার বাপ্পী (১৯) কে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃত বাপ্পী বরিশাল জেলার কোতয়ালী উপজেলার প্যাক প্যাক গলি, নবগ্রাম রোডস্থ বশির হাওলাদারের ছেলে।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, মামলার ১নং আসামি তুষার বাপ্পী একই এলাকার ভুক্তভোগী কিশোরীকে বিভিন্ন সময় প্রেমের প্রস্তাব দিত। এভাবে ওই কিশোরীর সঙ্গে এক সময় অভিযুক্ত তুষার বাপ্পী প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে। ধুরন্ধর তুষার প্রেমের সম্পর্কের মাধ্যমে কিশোরীর সঙ্গে বিভিন্ন সময় শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তুলে। ওই কিশোরী আসামীকে বিয়ের কথা বললে বাপ্পী এবং তার পরিবার কিশোরীকে নানা রকম বাহানা করে। তুষার ও তার পরিবার কিশোরীর পিতাকে ১০ লক্ষ টাকা ও মোটর সাইকেল দিতে বলে যা কিশোরীর বাবার পক্ষে দেয়ার সামর্থ নাই বলে আসামি তুষার কে জানায়। নিহত কিশোরী বাপ্পীকে বিয়ে করার বিষয়ে বুঝাইয়া ব্যার্থ হয়ে তার মৃত্যু ছাড়া উপায় নাই বললেও আসামি তাকে বিয়ের ব্যবস্থা না করে কিশোরীকে মৃত্যুর প্ররোচনা দেয়। পরে ঘটনার দিন ১৪আগষ্ট আনুমানিক রাত সোয়া নয়টার দিকে কিশোরী গলায় ওরনা পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে।
পরে নিহত কিশোরীর পিতা বাদী হয়ে বাপ্পীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
গ্রেফতারকৃত বাপ্পীকে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বরগুনা জেলার বেতাগী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
একুশে সংবাদ/এ.জে



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

