জাপানের দক্ষিণাঞ্চলীয় দ্বীপ কিউশুতে আছড়ে পড়েছে টাইফুন ‘শানশান’। এতে এখন পর্যন্ত তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছেন অন্তত ৩৯ জন। ২৯ আগস্ট এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।
জাপানের আবহাওয়া দফতর (জেএমএ) জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার দেশটির স্থানীয় সময় সকাল ৮টার দিকে ঘণ্টায় ১৯৮ কিলোমিটার বেগে দক্ষিণাঞ্চলীয় দ্বীপ কিউশু’র কাগোশিমা শহরের উপকূলে আছড়ে পড়ে ‘শানশান’।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ সতর্ক করে বলেছে, ‘শানশান’ এই অঞ্চলে আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় হতে পারে এবং অঞ্চলটি থেকে কয়েক লাখ বাসিন্দাকে সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়টি আঘাত হানার আগে প্রায় ২৪ ঘণ্টা ব্যাপক বৃষ্টি হয়েছে কিউশু এবং তার আশপাশের অঞ্চলে। জাপানের আবহাওয়া দফতরের রেকর্ড বলছে, কিউশু ও তার আশপাশের এলাকায় ৬০০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
জাপানের সংবাদমাধ্যম এনএইচকে বলেছে, ঝড়-বৃষ্টির কারণে বর্তমানে দ্বীপটির প্রায় ২ লাখ ৫৫ হাজার বাড়িঘর বিদ্যুৎবিহীন রয়েছে। এছাড়াও বৈরী আবহাওয়ার কারণে এরইমধ্যে দক্ষিণাঞ্চলের যাবতীয় ফ্লাইট বাতিল করেছে কর্তৃপক্ষ। এছাড়া বেশকিছু উচ্চগতির ট্রেনের চলাচলও স্থগিত করা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ে কাগোশিমা ও পার্শ্ববর্তী মিয়াজাকি শহরে সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে এনএইচকে।
এর আগে বুধবার (২৮ আগস্ট) এক সংবাদ সম্মেলনে জাপানের আবহাওয়া দফতরের শীর্ষ কর্মকর্তা সাতাশি সুগিমোতো সতর্ক করে জানান, দেশের দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলে এ যাবৎকালের সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় এই ‘শানশান’ আঘাত হানতে পারে। এ সময় বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২৫২ কিলোমিটার পর্যন্ত থাকতে পারে।
তিনি আরও জানিয়েছিলেন, কিউশুর উপকূলে আছড়ে পড়ার পরও শান্ত হবে না ‘শানশান’; বরং কিউশুতে তাণ্ডব চালানোর পর ক্রমশ দেশের মধ্য ও উত্তরাঞ্চলের দিকে এগোতে থাকবে ঘূর্ণিঝড়টি।
একুশে সংবাদ/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :