মিয়ানমারের রাখাইনে বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সঙ্গে তুমুল লড়াই চলছে জান্তা বাহিনীর। নিজেদের ঘাঁটি পুনরুদ্ধারে ফাইটার জেট আর ড্রোন দিয়ে হামলা চালাচ্ছে সেনাবাহিনী। দেশটির দুই-তৃতীয়াংশ-জুড়ে চলা সংঘাত ছড়িয়ে পড়ছে বাকি অঞ্চলেও।
উত্তরের রাখাইন রাজ্যে আরাকান আর্মির সাথে তুমুল লড়াই চলছে জান্তা বাহিনীর। তিনটি যুদ্ধজাহাজ নিয়ে রাখাইনে প্রবেশ করতে গেলেও বিদ্রোহীদের তোপের পিছু হটতে বাধ্য হয় তারা।
রাখাইনে তাই শক্তি বাড়াতে অস্ত্র মজুত শুরু করেছে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী-তাতমাদো। জ্বালিয়ে দিচ্ছে গ্রামের পর গ্রাম। খাদ্য সংকট তৈরির পাশাপাশি বেসামরিকদের আটক করে ভীতি তৈরির অভিযোগও আছে তাদের বিরুদ্ধে।
শান রাজ্যে সামরিক চৌকি পুনরুদ্ধারে বিমান থেকে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ছে তাতমাদো। বিদ্রোহীদের ঘাঁটি লক্ষ্য করে চালানো হচ্ছে ড্রোন হামলা। এতে ঝুঁকির মুখে আছে চীন-মিয়ানমারের মধ্যে থাকা জ্বালানি পাইপ। চীনের সীমান্ত শহর রুইলি থেকে মান্দালয় হয়ে পাইপটি গেছে মোগোতে। এ পর্যন্ত চীন সীমান্তের তিনটি বাণিজ্যিক রুটের দখল নিয়েছে বিদ্রোহীরা। দেশের অর্থনীতি টিকিয়ে রাখা এখন বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
মান্টং, নামতু, কুয়াটাং, শহরেও থেমে থেমে চলছে বিদ্রোহী আর জান্তা বাহিনীর সংঘর্ষ। এতে বেসামরিক হতাহতের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। তবে এই সংখ্যা নিয়ে লুকোচুরি করছে, মিয়ানমার।
গত অক্টোবর থেকে থ্রি বাদারহুড অ্যালয়েন্সের `অপারেশন ১০২৭` শুরুর পর অস্তিত্বের লড়াইয়ে আছে জান্তা সরকার। ব্রিগেড ৬১১ নামে একটি বাহিনী গঠন করে বিপদ আরও বাড়িয়েছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী।
একুশে সংবাদ/এসআর
আপনার মতামত লিখুন :