বহুমুখী আক্রমণ সামাল দিতে গিয়ে এমনিতেই চাপে আছে ইসরাইলি বাহিনী। এর মধ্যেই এবার জানা গেছে, বর্তমানে হামাসের পাশাপাশি ইসরাইলের সঙ্গে সংঘাতে লিপ্ত হিজবুল্লাহকে আধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র দিতে যাচ্ছে ওয়াগনার গ্রুপ।
সংবাদমাধ্যম নিউ ইয়র্ক পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন যে, রাশিয়ার ভাড়াটে যোদ্ধা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ওয়াগনার গ্রুপ ইসরাইলের সঙ্গে সংঘর্ষের পর লেবানন-ভিত্তিক সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহকে উন্নত এয়ার ডিফেন্স মিসাইল সিস্টেম (ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা) দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনের বরাতে নিউ ইয়র্ক পোস্ট জানায়, মার্কিন কর্মকর্তারা বর্তমানে হিজবুল্লাহকে ওয়াগনার গ্রুপের ‘এসএ-২২’ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দেয়ার বিষয়টি (সম্ভাব্য) পর্যবেক্ষণ করছেন। যদিও এ বিষয়ে রাশিয়া কিংবা হিজবুল্লাহর পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
তবে মার্কিন কর্মকর্তাদের দাবি, ‘এসএ-২২’ এখনও লেবাননে পাঠানো হয়নি। কিন্তু হিজবুল্লাহ এবং ওয়াগনারের কয়েকজন সদস্য এ বিষয়ে আলোচনা করতে বর্তমানে সিরিয়ায় অবস্থান করছেন।
সরবরাহ করা হলে এটি লেবানন হয়ে গাজায় নিয়ে যাওয়া হতে পারে বলেও শঙ্কা যুক্তরাষ্ট্রের। কারণ, সেক্ষেত্রে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠেবে হামাস।
এদিকে শুধু হামাস আর হিজবুল্লাহ নয়; হুতি বিদ্রোহীরাও হামলা চালানো শুরু করেছে ইসরাইলে। আবার হিজবুল্লাহর সঙ্গে ইরান-সমর্থিত প্রভাবশালী মিলিশিয়া গোষ্ঠী ইমাম হোসেন ব্রিগেড যোগ দিচ্ছে বলেও খবর পাওয়া গেছে। সব মিলিয়ে বেশ চাপের মুখেই পড়েছে ইসরাইলি বাহিনী।
বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) আরবি ভাষার মুখপাত্র অভিচয় আদরাই দাবি করেন,
ইসরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধে হিজবুল্লাহকে সহায়তার অংশ হিসেবে সিরিয়ায় মোতায়েনরত ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠী ইমাম হোসেন ব্রিগেডের সদস্যদের দক্ষিণ লেবাননে স্থানান্তর করা হয়েছে।
এক্সে (সাবেক টুইটার) দেয়া এক ঘোষণায় তিনি বলেন, ‘গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ইসরাইলের বিরুদ্ধে হিজবুল্লাহর ধারাবাহিক ব্যর্থতার পর জুলফিকার নামে এক কমান্ডারের নেতৃত্বে ইরানের ইমাম হোসেন ব্রিগেড দক্ষিণ লেবাননে পৌঁছেছে।’
একুশে সংবাদ/এসআর
আপনার মতামত লিখুন :