AB Bank
ঢাকা বুধবার, ২২ মে, ২০২৪, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

কেন এতো জনপ্রিয় এরদোগান?


Ekushey Sangbad
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
০৩:৪১ পিএম, ২৯ মে, ২০২৩

তুরস্কের জাতীয় নির্বাচনে জয়লাভ করে টানা তৃতীয়বারের মতো প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগান। তিনি এবার দেশটির প্রায় শতকরা ৫৯ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তাকে ঘিরে ক্রমেই বাড়ছে আরব দেশগুলোর মধ্যে উত্তেজনা।

 

তুরস্ক এবং প্রেসিডেন্ট এরদোগানের ব্যাপারে আরব দেশের সরকার ও জনগণের এই বিপরীত অবস্থান উন্মোচিত হয়েছে অতি সম্প্রতি প্রকাশিত আরব জনমতের ওপর একটি ব্যাপক-ভিত্তিক জরিপের ফলাফলে। আরব বিশ্বের ১৩টি দেশে পরিচালিত হয় এই জনমত জরিপ।

 

জানা গেছে, জরিপের ৫৮ শতাংশই মনে করেন, অন্য যেকোনো দেশের নীতির তুলনায় তুরস্কের মধ্যপ্রাচ্য নীতি আরব স্বার্থের পক্ষে। ফিলিস্তিন ইস্যু তো বটেই, এমনকি সিরিয়া এবং লিবিয়ায় তুরস্কের বিতর্কিত সামরিক হস্তক্ষেপও সিংহভাগ আরব জনগণ সমর্থন করছে।

 

এশিয়া ও আফ্রিকায় আরব বিশ্বের ১৩টি আরব রাষ্ট্রে বিভিন্ন জাতীয়, আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক ইস্যুতে সাধারণ আরব জনগণের মনোভাব জানতে এই জরিপটি করেছে দোহা এবং বৈরুত ভিত্তিক গবেষণা সংস্থা ‘আরব সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি স্টাডিজ।

 

গবেষণা সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারেস্টের প্রধান এবং মধ্যপ্রাচ্য রাজনীতির বিশ্লেষক সামি হামদি মনে করেন, তুরস্ক রাষ্ট্রের চেয়ে ব্যক্তি প্রেসিডেন্ট এরদোগান যে সাধারণ আরব জনগণের বিরাট একটি অংশের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠছেন, তা নিয়ে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই।

 

তিনি বলেন, “সন্দেহ নেই তুরস্কের গ্রহণযোগ্যতা, বিশেষ করে সাধারণ প্রান্তিক আরব জনগোষ্ঠীর কাছে, বাড়ছে এবং গ্রহণযোগ্যতা বাড়ার পেছনে তুরস্ক রাষ্ট্রের চেয়ে প্রেসিডেন্ট এরদোগানের ভাবমূর্তি প্রধান ভূমিকা রাখছে। এরদোয়ানের আগের তুরস্ককে আরবরা দেখতো একটি নিপীড়নকারী রাষ্ট্র হিসাবে- যারা আরব এবং মুসলিমদের স্পর্শকাতরতাকে তোয়াক্কা করতো না।

 

“আরব বিশ্বের মানুষ দেখছে এরদোগান একজন ইসলামপন্থী হলেও গণতান্ত্রিক তুরস্কের রাজনীতিতে তিনি একচ্ছত্র প্রাধান্য বিস্তার করতে পেরেছেন। তিনি তার দেশকে অর্থনৈতিক উন্নয়ন দিয়েছেন, দেশের সামরিক শক্তি বাড়িয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া বা ইউরোপের মত বড় বড় শক্তির সাথে চোখে চোখ রেখে কথা বলছেন। এতে বহু আরব নাগরিকেরা মুগ্ধ হচ্ছেন।” এবং তার এমন কর্মকান্ডে তারা অনুপ্রাণিত হয়েছেন।

 

জনমত জরিপে ফিলিস্তিন ইস্যুতে সাধারণ আরব জনগণের আবেগের যে চিত্র ফুটে উঠেছে, তা ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরিতে ইচ্ছুক আরব নেতাদের মাথাব্যথার কারণ হতে পারে।

 

ফলাফলে দেখা গেছে, এখনও ৮৯ শতাংশ আরব মনে করেন যে ফিলিস্তিন ইস্যু আলাদা কোনো ইস্যু নয়, বরং এটি একটি আরব ইস্যু। এমনকি উপসাগরীয় দেশগুলোর জনগণের মধ্যেও এই মনোভাব এখনো বেশ জোরালো। এখনো ৮৮ শতাংশ আরব ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার বিপক্ষে। মাত্র ছয় শতাংশ সমর্থন করে।

 

সাদি হামদি বলেন, আরব নেতাদের সামনে রাস্তা দুটো – এরদোগানের সঙ্গে সন্ধি করা অথবা তার মোকাবিলা করা। “অনেক আরব শাসক মনে করেন, এরদোগান নতুন এক অটোম্যান সম্রাট হতে চাইছেন। তারা তাই ইসরায়েল এবং আমেরিকার সঙ্গে মিলে এরদোগানকে থামানোর চেষ্টা করছেন।

 

একুশে সংবাদ/য/এসএপি
 

Link copied!