এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেড (ইডিসিএল) উৎপাদিত ৩৩টি অত্যাবশ্যকীয় ওষুধের দাম কমিয়েছে। সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ পর্যন্ত কমানো হয়েছে এসব ওষুধের মূল্য। তালিকায় রয়েছে অ্যান্টিবায়োটিক, নিউমোনিয়া, সর্দি-জ্বর, উচ্চরক্তচাপ, গ্যাস্ট্রিক আলসার, কৃমিনাশক, ব্যথানাশক, হাঁপানি ওষুধ এবং ভিটামিন।
প্রতিষ্ঠানটির নথি অনুযায়ী, হাঁপানি প্রতিরোধী মন্টিলুকাস্ট ট্যাবলেটের দাম ১০ টাকা ৬৭ পয়সা থেকে কমে হয়েছে ৫ টাকা। পাকস্থলীর এসিড নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণে ওমিপ্রাজল ক্যাপসুলের দাম ২ টাকা ৭৫ পয়সা থেকে ২ টাকা ৭০ পয়সা, ব্যথানাশক কেটোরোলাক ইনজেকশনের দাম ৩০ টাকা থেকে ২৩ টাকা এবং কেমোথেরাপি-জনিত বমি প্রতিরোধী অনডানসেট্রন ইনজেকশনের দাম ৩ টাকা কমানো হয়েছে। সেফট্রিয়াক্সোন ইনজেকশন ১১৫ টাকা থেকে ৯০ টাকা এবং সেফটাজিডিম ইনজেকশন ১৫০ টাকা থেকে ১০০ টাকায় নামানো হয়েছে। এছাড়া মেরোপেনের দাম ৪৫০ টাকা থেকে ৩৪৩ টাকা করা হয়েছে।
গ্রামীণ ক্লিনিকগুলোতে সরবরাহকৃত ৩২টি ওষুধের মধ্যে ২২টির দামও কমানো হয়েছে। এর মধ্যে গ্যাস্ট্রিকের অ্যান্টাসিড ট্যাবলেটের দাম ৬৮ পয়সা, প্যারাসিটামল ট্যাবলেট ১ টাকা ১১ পয়সা, সালবিউটামল ট্যাবলেট ১৭ পয়সা এবং অ্যালবেনডাজল ট্যাবলেট ১ টাকা করা হয়েছে। অ্যামলোডিপিন ট্যাবলেটের দাম ২ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ২ টাকা ৩১ পয়সা এবং মেটফর্মিন ট্যাবলেট ৩ টাকা ২৫ পয়সা থেকে ২ টাকা করা হয়েছে।
ইডিসিএল ব্যবস্থাপনা পরিচালক সামাদ মৃধা জানান, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও ইডিসিএলের যৌথ উদ্যোগে দাম নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে। ক্রয় প্রক্রিয়ায় সিন্ডিকেট ভেঙে প্রতিযোগিতামূলক দরপত্র আহ্বান করায় কাঁচামাল কম দামে কেনা যাচ্ছে, কর্মঘণ্টা ও উৎপাদন দক্ষতাও বেড়েছে। ফলে উৎপাদন খরচ ৩০ কোটি ৬৭ লাখ টাকা কমেছে।
জনস্বাস্থ্যবিদরা বলছেন, সরকারি কোম্পানি দাম কমালে জনগণ উপকৃত হবে, তবে বেসরকারি কোম্পানিগুলোর ক্ষেত্রে একইভাবে দাম কমানো সম্ভব নাও হতে পারে। বাংলাদেশ ঔষধ শিল্প সমিতির মহাসচিব ডা. মো. জাকির হোসেনের মতে, ইডিসিএলের কোনো বিপণন ব্যয় বা নতুন উৎপাদন খরচ না থাকায় তারা দাম কমাতে পারলেও বেসরকারি কোম্পানির ক্ষেত্রে তা কঠিন।
একুশে সংবাদ/আ.ট/এ.জে