ডেঙ্গু আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তে থাকায় চিকিৎসা সেবায় বিশেষ ব্যবস্থা নিতে জরুরি নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) অধিদপ্তরের হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমূহের পরিচালক ডা. আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান স্বাক্ষরিত নির্দেশনায় এসব ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলা হয়।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে—
১. রোগীদের দ্রুত এনএস-১ পরীক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। এ জন্য সরকারি হাসপাতালগুলো সিএমএসডি বা সিডিসির সঙ্গে যোগাযোগ করবে।
২. ভর্তি থাকা রোগীদের জন্য ২৪ ঘণ্টা ল্যাব ও রেডিওলজি পরীক্ষার সুযোগ রাখতে হবে।
৩. প্রয়োজনীয় ওষুধ হাসপাতাল থেকেই সরবরাহ করতে হবে।
৪. ডেঙ্গু রোগীদের জন্য আলাদা ওয়ার্ড বা কর্নার নির্ধারণ করতে হবে।
৫. বিশেষ মেডিকেল টিম গঠন করতে হবে—এ টিমে অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক/জুনিয়র কনসালট্যান্টসহ অন্তত ১০ জন মেডিকেল অফিসার ও পর্যাপ্ত নার্স থাকতে হবে। ২৪ ঘণ্টা রোস্টারভিত্তিক চিকিৎসা সেবা চালু থাকবে।
৬. বহির্বিভাগে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া রোগীদের জন্য একটি আলাদা কক্ষ রাখতে হবে।
৭. ভর্তি ও আইসিইউতে থাকা রোগীদের অগ্রাধিকার দিতে হবে।
৮. কোনো রোগী মৃত্যুবরণ করলে ৬ ঘণ্টার মধ্যে সংক্ষিপ্ত তথ্য এসএমএস ও ই-মেইলের মাধ্যমে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে পাঠাতে হবে।
৯. হাসপাতালের চারপাশে মশক নিধন ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চালাতে স্থানীয় সিটি করপোরেশন বা পৌরসভাকে চিঠি দিতে হবে।
১০. প্রতি শনিবার সকালে হাসপাতাল পরিচালককে নিয়ে ডেঙ্গু সমন্বয় সভা করতে হবে।
১১. প্রয়োজনে অন্যান্য মেডিকেল কলেজ হাসপাতালও এই নির্দেশনা কার্যকর করতে পারবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, এ নির্দেশনার উদ্দেশ্য হলো—ডেঙ্গু রোগীদের দ্রুত চিকিৎসা ও প্রয়োজনীয় সেবা নিশ্চিত করা, এবং হাসপাতাল ও আশপাশের পরিবেশ মশামুক্ত রাখা।
একুশে সংবাদ/এ.জে