AB Bank
  • ঢাকা
  • সোমবার, ১৬ জুন, ২০২৫, ১ আষাঢ় ১৪৩২

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

বাড়ছে খেলাপি ঋণ, ৪ লাখ ২০ হাজার ৩৩৪ কোটি টাকা ছাড়াল


Ekushey Sangbad
নিজস্ব প্রতিবেদক
০৬:৫৯ পিএম, ১৫ জুন, ২০২৫

বাড়ছে খেলাপি ঋণ, ৪ লাখ ২০ হাজার ৩৩৪ কোটি টাকা ছাড়াল

দেশের ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণের বোঝা উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। ২০২৫ সালের মার্চ শেষে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ২০ হাজার ৩৩৪ কোটি টাকা, যা বিতরণকৃত মোট ঋণের ২৪.১৩ শতাংশ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ৩ লাখ ৪৫ হাজার ৭৬৫ কোটি টাকা। ফলে মাত্র তিন মাসেই খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৭৪ হাজার ৫৬৯ কোটি টাকা।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত দেশে বিতরণকৃত মোট ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৭ লাখ ৪১ হাজার ৯৯২ কোটি টাকা, যা ডিসেম্বর শেষে ছিল ১৭ লাখ ১১ হাজার ৪০২ কোটি টাকা।

ব্যাংকিং খাতের এই উদ্বেগজনক পরিস্থিতি প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধারে আইনি প্রক্রিয়া ধাপে ধাপে এগিয়ে নিতে হবে। চূড়ান্ত আদালতের রায় ছাড়া এসব অর্থ ফেরত আনা সম্ভব নয়।

তিনি বলেন, "আমরা চাই, আদালতের মাধ্যমেই যাচাই হোক যে আমাদের দাবির ভিত্তি কতটা শক্তিশালী। আইনি নথিপত্র প্রস্তুতের পর সেই অনুযায়ী মামলা পরিচালনা করতে হবে।"

গভর্নর বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি (ADR) পদ্ধতির কথাও উল্লেখ করেন। তার ভাষায়, "আদালতের বাইরে পারস্পরিক আলোচনার ভিত্তিতেও অর্থ উদ্ধারের সম্ভাবনা রয়েছে। এ প্রক্রিয়ায় উভয় পক্ষের আইনজীবীদের সমঝোতার মাধ্যমে সমাধানে পৌঁছাতে হয়।"

তিনি আরও জানান, পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধারে বাংলাদেশ ব্যাংক ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে এবং সরকারের নির্দেশনা পেলেই দেশীয় ও আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা পরিচালনার জন্য আইনজীবী নিয়োগ দেওয়া হবে।

গভর্নর বলেন, "আন্তর্জাতিক বেশ কিছু আইনজীবী প্রতিষ্ঠান আমাদের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তাদের কেউ কেউ ১০০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগে আগ্রহী এবং অর্থ উদ্ধারে সহযোগিতা করতে চায়।"

ফার্মগুলোর পারিশ্রমিক কাঠামো প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "উদ্ধার হওয়া অর্থের ১৫ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত ফি নেওয়ার কথা রয়েছে, বাকি অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা হবে।"

যুক্তরাজ্যের সহযোগিতা সম্পর্কে গভর্নর বলেন, "ব্রিটিশ সরকারের সঙ্গে আমাদের ইতিবাচক যোগাযোগ রয়েছে এবং তারা আমাদের সহায়তা করছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রে বিষয়টি কিছুটা ধীরগতিতে এগোচ্ছে, কারণ সেখানে নতুন প্রশাসনের নীতিগত প্রস্তুতি এখনও সম্পূর্ণ হয়নি।"

 

একুশে সংবাদ/স.ট/এ.জে

Link copied!