আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট থেকে তিন খাতে ৩ লাখ ১৪ হাজার ৭০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিতে পারে অর্থ মন্ত্রণালয়। বিশাল বাজেটের ৪০ শতাংশই ভর্তুকি, সুদ পরিশোধ, সরকারি কর্মচারীদের বেতন-ভাতায় খরচ হবে।
জানা যায়, বরাদ্দের মধ্যে সুদ বাবদ ১ লাখ ১৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা, ভর্তুকি ও প্রণোদনা বাবদ ১ লাখ ১১ হাজার কোটি টাকা এবং সরকারি কর্মচারীদের বেতন বাবদ ৮৭ হাজার ৭০০ কোটি টাকা ব্যয় হবে। ভর্তুকি, সুদ আর সরকারি কর্মচারীদের বেতন-ভাতায় বিপুল অঙ্কের টাকা রাখতে গিয়ে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচি, স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়ানো কঠিন হচ্ছে।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ভর্তুকি কমানোর চাপ দিয়ে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় বিদ্যুৎ-জ্বালানির দাম বাড়িয়ে ভর্তুকি কমানোর চেষ্টা করছে সরকার। তবে কৃষি ভর্তুকি শিগগির কমিয়ে আনা কঠিন বলে মনে করছে সরকার।
চলতি অর্থবছরে বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকি দাঁড়িয়েছে ৩৫ হাজার কোটি টাকা। আগামী বাজেটেও ভর্তুকির পরিমাণ একই রাখতে পারে সরকার। অর্থ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের জুলাই-জানুয়ারি সময়ে সুদ পরিশোধ হয়েছে ৬০ হাজার ৫৫৫ কোটি টাকা, যা আগের বছরের তুলনায় ২৬ শতাংশ বেশি।
প্রসঙ্গত, রাজস্ব খাতে বড় ধরনের পরিবর্তন নিয়ে আসছে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট। এবার ৪ দশমিক ৬২ শতাংশ ব্যয় বাড়িয়ে বাজেটের আকার ৭ লাখ ৯৬ হাজার ৯০০ কোটি টাকা হতে পারে। অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী আজ ৩টায় জাতীয় সংসদে নতুন বাজেট উপস্থাপন করবেন। এটি স্বাধীন বাংলাদেশের ৫৩তম বাজেট। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের টানা চতুর্থ মেয়াদের প্রথম বাজেট।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা। বাজেট ঘাটতি ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের তুলনায় বাজেটের আকার ৪.৬ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে।
বাজেটে বিদেশি ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ লাখ ২৭ হাজার ২০০ কোটি টাকা। ব্যাংক থেকে ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ১ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। ঋণের সুদ পরিশোধের ব্যয় ধরা হয়েছে ১ লাখ ১৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এছাড়া সঞ্চয়পত্র বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৫ হাজার ৪০০ কোটি টাকা।
একুশে সংবাদ/চ.ট.প্র/জাহা