নরসিংদীতে টানা দুই দিন তৃতীয়বারের মতো ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটের ভূমিকম্পেই পলাশ উপজেলায় দুইজনের প্রাণহানি ঘটে এবং সরকারি–বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের দেয়াল ও মাটিতে ব্যাপক ফাটল দেখা দেয়। ক্ষতিগ্রস্ত কাঠামোর মধ্যে রয়েছে ব্রিটিশ আমলে নির্মিত ঘোড়াশাল রেলসেতুও। সেতুটির ২ নম্বর পিলারে ফাটল দেখা দেওয়ায় ট্রেন যাত্রী ও স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
ভূমিকম্পের দুই দিন পার হলেও রবিবার পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত ঘোড়াশাল রেলসেতু পরিদর্শনে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের কেউ যাননি।
ঘোড়াশালের ট্রেনযাত্রী তারেক মিয়া বলেন, “টানা দুই দিনে তিনবার ভূমিকম্প হয়েছে। প্রথম দিনের ভূমিকম্পে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। রেলসেতুর পিলারেও ফাটল দেখা দিয়েছে। এই সেতুর ওপর দিয়ে প্রতিদিন অন্তত ১৬ জোড়া ট্রেন চলাচল করে। এমন পরিস্থিতিতে আতঙ্ক বিরাজ করছে।”
স্থানীয় বাসিন্দা আনিছুর রহমান জানান, “প্রথম দিনের ভূমিকম্পেই সেতুর একটি পিলারে ফাটল দেখা দেয়। অন্য কোনো পিলার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কি না তা জরুরি ভিত্তিতে পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।”
রেলসেতু সংলগ্ন ঘোড়াশাল ফ্ল্যাগ রেলস্টেশনে দায়িত্বে কোনো স্টেশন মাস্টার নেই। বুকিং সহকারী আব্দুল খালেক দায়িত্ব পালন করলেও তার মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে পাশের জিনারদী রেলস্টেশনের স্টেশন মাস্টার বরকত হোসেন বলেন, “ঘোড়াশাল পুরাতন রেলসেতুর একটি পিলারে ফাটল দেখা দেওয়ার খবর পেয়েছি। পরে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।”
পলাশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবু বক্কর সিদ্দিকীকেও বিষয়টি জানানো হয়েছে। তিনি মিটিংয়ে থাকায় পরে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন।
একুশে সংবাদ//এ.জে



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

