আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর যশোর-৬ আসনে কেন্দ্রীয় বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণকে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। তবে দলের এই সিদ্ধান্তে কেশবপুরের ত্যাগী নেতাকর্মীদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।
ক্ষোভের একটাই কারণ, যারা দীর্ঘদিন ধরে কেশবপুরে বিএনপির জন্য ত্যাগ স্বীকার করেছেন, তাদের বাদ দিয়ে এমন একজনকে প্রার্থী করা হয়েছে যিনি এলাকায় বিএনপির জন্য কোনো উল্লেখযোগ্য কাজ করেননি। ১৯৯৭ সালে কেশবপুরে বিএনপির দুর্দিনে আবুল হোসেন আজাদ দলের হাল ধরেন এবং তার পর থেকে কেশবপুরের বিএনপির ত্যাগী নেতার দায়িত্ব পালন করেছেন। সভাপতি হবার পর থেকে তিনি দলের কোনো অনুষ্ঠানে কারও কাছ থেকে কোনো অর্থ গ্রহণ করেননি এবং দলের বড় কর্মসূচি সম্পন্ন করতে নিজস্ব অর্থায়ন করেছেন।
আবুল হোসেন আজাদ ধানের শীষ নিয়ে তিনবার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। বিএনপির দুর্দিনে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার পরেও তিনি রাষ্ট্রীয় বাধার কারণে পরাজয় মেনে নিয়েছেন। এরপরেও তিনি দলের জন্য অবিরাম ত্যাগ করেছেন। তার স্ত্রী, রেহেনা আজাদ, কেশবপুর উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি হিসেবে স্বামীর মতই দলের উন্নয়নে দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। তিনি উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডে মহিলাদের সংগঠিত করতে সক্ষম হয়েছেন।
অতি সম্প্রতি যশোর-৬ কেশবপুর আসনকে ঘিরে একটি মহল ষড়যন্ত্র করেছিল। আবুল হোসেন আজাদ মানববন্ধন, স্মারকলিপি ও হাইকোর্টের মাধ্যমে এই ষড়যন্ত্র রুখে দেন।
তৃণমূল পর্যায়ের অনেক নেতাকর্মী অভিযোগ করেছেন, বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে বিভ্রান্ত করে একটি কুচক্রী মহল আবুল হোসেন আজাদকে মনোনয়ন থেকে বঞ্চিত করেছে। তাদের দাবি, তারা চায় না বিএনপি যশোর-৬ কেশবপুর আসনে বিজয়ী হোক।
অন্যদিকে, আওয়ামী লীগের সন্তান কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণকে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী করায় সংশ্লিষ্ট এলাকায় আওয়ামী লীগের পুরনো দাগী নেতা এবং যারা বিএনপি বা জামায়াতের নেতা-কর্মীদের উপর হামলা চালিয়েছে, তারা আবার সক্রিয় হয়ে উঠেছে।
একুশে সংবাদ//এ.জে



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

