AB Bank
  • ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর, ২০২৫, ২৮ কার্তিক ১৪৩২

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

সাদুল্লাপুরে আলোচিত আসাদুল হত্যার মামলার রহস্য উদঘাটন — নারীসহ গ্রেফতার ২



সাদুল্লাপুরে আলোচিত আসাদুল হত্যার মামলার রহস্য উদঘাটন — নারীসহ গ্রেফতার ২

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরে বহুল আলোচিত আসাদুল জুয়ারু হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। ১৭ মাসের দীর্ঘ অনুসন্ধান ও তদন্তের পর অবশেষে সন্দেহভাজন দুই আসামিকে গ্রেফতার করে পুলিশ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে সক্ষম হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, পলাশবাড়ী উপজেলার আমবাড়ী গ্রামের মজিবুর রহমানের ছেলে হাবিবুর রহমান (৪৫) এবং সাদুল্লাপুর উপজেলার ইদিলপুর ইউনিয়নের কাবিলপুর সোনাতলা গ্রামের রেজাউল ইসলামের মেয়ে সীমা আক্তার (২১)।

একটি সূত্রে জানা গেছে, নিহত আসাদুল মিয়া ও আসামি হাবিবুর রহমানের মধ্যে সীমা আক্তারের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক ও দেহব্যবসা সংক্রান্ত বিরোধের কারণে হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। আসাদুল ও হাবিবুর সীমাকে ব্যবহার করে দীর্ঘদিন ধরে দেহব্যবসা ও অর্থ লেনদেনের কাজ চালাচ্ছিল।

এরই মধ্যে আসাদুলের দ্বিতীয় স্ত্রী বেলা বেগম বিষয়টি জানতে পেরে সীমাকে একাধিকবার সতর্ক করেছিলেন। বিষয়টি জানাজানি হলে তিনজনের মধ্যে টানাপোড়েন শুরু হয়। হাবিবুর সীমাকে নিয়ে ঢাকায় যাওয়ার প্রস্তাব দেয়।

২০২৪ সালের ৭ জুন রাতে সীমা মোবাইলে আসাদুলকে দেখা করতে বলে। মোতাবেক ওইদিন রাত সাড়ে ১০টার দিকে পলাশবাড়ী উপজেলার বিটিসি মোড়ে তারা দেখা করে। সেখানে আসাদুল জানতে পারে হাবিবুর ও সীমা ঢাকায় যাওয়ার অপেক্ষায় আছে। বিষয়টি নিয়ে তুমুল বাগবিতণ্ডা হয়। স্থানীয়রা তাৎক্ষনিকভাবে বিষয়টি মীমাংসা করে।

পরদিন ৮ জুন, ২০২৪ রাত ৯টার দিকে হাবিবুর জুয়ার খেলার কথা বলে আসাদুলকে বাড়ি থেকে ডেকে নেয়। এরপর আসাদুল ঢাকায় যাওয়ার কথা জানিয়ে ফোন বন্ধ হয়ে যায় এবং হাবিবুর ও সীমাকেও পাওয়া যাচ্ছিল না।

৯ জুন, ২০২৪ বিকেল ৬টার দিকে ইদিলপুর ইউনিয়নের একবারপুর গ্রামের পূর্ব পাশে উঁচু ব্রিজের নিচে পানিতে ভাসমান অবস্থায় আসাদুলের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহতের ভাই মমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে সাদুল্লাপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘদিন মামলাটির কোনো ক্লু পাওয়া যাচ্ছিল না।

সম্প্রতি মামলার তদন্তের দায়িত্ব পান ধাপেরহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই সুপদ হালদার। তিনি অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের তত্ত্বাবধানে তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় পুনরায় তদন্ত শুরু করেন এবং রহস্য উদঘাটন করেন।

গত ১১ নভেম্বর রাতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে পলাশবাড়ী এলাকা থেকে হাবিবুর রহমান ও ইদিলপুরের কাবিলপুর সোনাতলা থেকে সীমা আক্তারকে গ্রেফতার করা হয়।

এসআই সুপদ হালদার জানিয়েছেন, “আসাদুলকে হত্যার পর হাবিবুর ও সীমা ঢাকায় পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করে সেখানে বসবাস করছিল। সম্প্রতি তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছে। তদন্তে জানা গেছে, নিহত আসাদুল ও হাবিবুর একে অপরের বন্ধু ছিলেন এবং তারা সীমাকে দেহব্যবসা ও ফিটিংস ব্যবসায় ব্যবহার করতেন। জুয়ার পাটনার সিপ নিয়েও তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিল। ব্যবসায়িক স্বার্থ ও পারস্পরিক দ্বন্দ্ব থেকেই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।”

সাদুল্লাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ তাজ উদ্দিন খন্দকার বলেন, “এসআই সুপদ হালদার অল্প সময়ের মধ্যেই চাঞ্চল্যকর ক্লু-লেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করে দুইজনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছেন। তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। আসামিদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে তিনি একাধিক চাঞ্চল্যকর মামলার আসামি গ্রেফতার করে পুলিশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছেন।”

চাঞ্চল্যকর এই মামলার রহস্য উদঘাটনে স্থানীয়রা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন এবং পুলিশের দ্রুত ও নির্ভুল তদন্তের প্রশংসা করেছেন।

 

একুশে সংবাদ//এ.জে

সর্বোচ্চ পঠিত - সারাবাংলা

Link copied!