নাচ-গানের মধ্য দিয়ে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে শেষ হয়েছে মণিপুরীদের সবচেয়ে বড় ও ঐতিহ্যবাহী ধর্মীয় উৎসব মহারাসলীলা। বৃহস্পতিবার ভোরে এ আয়োজনের সমাপ্তি ঘটে। কার্তিক পূর্ণিমার তিথিতে রাসনৃত্যের বর্ণিল এই উৎসব উপভোগ করেছেন দেশ-বিদেশের হাজারো মানুষ।
গত বুধবার দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে কমলগঞ্জে হাজির হন নারী-পুরুষ, শিশু-কিশোরসহ নানা পেশার মানুষ। তাদের পদচারণায় সকাল থেকেই মুখর হয়ে ওঠে মণিপুরী পাড়াগুলো। বৃহস্পতিবার সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে আয়োজনের পরিসমাপ্তি ঘটে। উপজেলার মাধবপুর জোড়া মণ্ডপ মাঠে বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরী এবং আদমপুরের মণিপুরী কালচারাল কমপ্লেক্স মাঠে মণিপুরী মী-তৈ সম্প্রদায়ের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় মহারাসোৎসব।
রাস উৎসব ঘিরে এবারও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। মেলায় বসেছিল রকমারি আয়োজন।
মাধবপুর (শিববাজার) জোড়ামণ্ডপ মাঠে মণিপুরী মহারাসলীলা সেবা সংঘের উদ্যোগে বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরীদের ১৮৩তম বার্ষিকী উপলক্ষে রাতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অন্যদিকে, আদমপুর গ্রামে বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরী ও মী-তৈ মণিপুরীদের ৪০তম আলাদা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
মণিপুরী মহারাসলীলা সেবা সংঘের সাধারণ সম্পাদক শ্যাম সিংহ বলেন, “মাধবপুর জোড়ামণ্ডপ রাসোৎসব এ বিভাগের মধ্যে ব্যতিক্রমী আয়োজন। এখানে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে হাজার হাজার মানুষ উপস্থিত হন। বর্ণময় শিল্পসমৃদ্ধ এবং বিশ্বনন্দিত মণিপুরী সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী রাস উৎসবে সবার মহামিলন ঘটে।
মণিপুরীদের রাসলীলার বিভিন্ন ধরন রয়েছে—নিত্যরাস, কুঞ্জরাস, বসন্তরাস, মহারাস, বেনিরাস বা দিবারাস। শারদীয় পূর্ণিমার তিথিতে অনুষ্ঠিত হওয়ায় মহারাসকে মণিপুরীরা ‘পূর্ণিমারাস’ও বলে থাকেন।”
তিনি আরও বলেন, “এই উৎসবের জন্য প্রায় ১৫-২০ দিন ধরে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। উৎসবের নিরাপত্তায় সেনাবাহিনী, পুলিশ, র্যাব ও বিজিবি মোতায়েন ছিল।”
একুশে সংবাদ/এ.জে



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

