গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার আব্দুল জব্বার ডিগ্রি কলেজের সাময়িক বরখাস্তকৃত অধ্যক্ষ মো. ছামিউল ইসলামকে চূড়ান্তভাবে বরখাস্ত করেছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়।
গত ৯ অক্টোবর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে কলেজ পরিদর্শক মো. আব্দুল হাই সিদ্দিক সরকার স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে অধ্যক্ষ ছামিউল ইসলামের চূড়ান্ত বরখাস্তের অনুমোদন প্রদান করা হয়। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, কলেজের গভর্নিং বডির সুপারিশ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন শাখার মতামতের ভিত্তিতে তাঁকে চূড়ান্তভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।
জানা যায়, অর্থ আত্মসাৎসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে ২০২৩ সালের ১ এপ্রিল কলেজের অ্যাডহক কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক ২ এপ্রিল তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কলেজের সভাপতি মোহাম্মদ আল-মারুফ স্বাক্ষরিত চিঠির মাধ্যমে অধ্যক্ষ মো. ছামিউল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
পরবর্তীতে অভিযোগগুলোর সুষ্ঠু তদন্তের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন ও সুপারিশের আলোকে ২০২৫ সালের ১৯ আগস্ট গভর্নিং বডির সভায় তাঁকে চূড়ান্তভাবে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সরদার মিজানুর রহমান গভর্নিং বডির ওই সিদ্ধান্ত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলরের অনুমোদনের জন্য পাঠান। এর পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যক্ষের চূড়ান্ত বরখাস্ত অনুমোদন করে।
ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সরদার মিজানুর রহমান বলেন, “চূড়ান্ত বরখাস্তের অনুমোদনের চিঠি পাওয়ার পর গত ১২ অক্টোবর গভর্নিং বডির সিদ্ধান্ত মোতাবেক অধ্যক্ষের পদটি শূন্য ঘোষণা করা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে জানানো হয়েছে।”
এদিকে, বরখাস্তকৃত অধ্যক্ষ মো. ছামিউল ইসলাম বলেন, “আমাকে অন্যায়ভাবে চূড়ান্তভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। এ বিষয়ে আমি হাইকোর্টে রিট করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।”
একুশে সংবাদ/এ.জে