নওগাঁর আত্রাই উপজেলায় শীতের আগমনী বার্তা আনতে শুরু করেছে কুয়াশা ও মৃদু পুবালি বাতাস। এ সঙ্গে শীতকালীন মৌসুমে খেজুর রস সংগ্রহের কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন উপজেলার গাছিরা। গ্রামীণ জনপদে প্রতিটি গ্রামের খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহ ও পরিচর্যার কাজ সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে।
শুধু রসই নয়, খেজুরের রস থেকে তৈরি হয় লালি, গুড়, পিঠা ও পুলি, যা গ্রামীণ মানুষের খাদ্যসংস্কৃতির অঙ্গ। এক সময় আত্রাই উপজেলার খেজুর গুড় জাতীয়ভাবে খ্যাত ছিল। তবে জীবনধারার পরিবর্তন, বন বিভাগের নজরদারির অভাব ও অল্প দক্ষতায় গাছ কাটা প্রথার কারণে খেজুর গাছের সংখ্যা কমে যাচ্ছে।
নাটোরের লালপুর থেকে আসা পেশাদার গাছি কালাম মিঞা জানান, প্রতিবার ৪ মাস ধরে গাছের মালিকদের সঙ্গে চুক্তি করে খেজুর রস সংগ্রহ করেন। যদিও গাছ কম থাকায় এবছর রস কম, তবুও গাছিরা জীবিকা ও ঐতিহ্য ধরে রাখতে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা প্রসেনজিৎ তালুকদার বলেন, “খেজুর গাছ কাটার কাজ শিল্প ও দক্ষতায় ভরা। ধৈর্য, সতর্কতা এবং কৌশল ছাড়া এটি সম্ভব নয়। মৌসুমে আসার সঙ্গে সঙ্গে দক্ষ গাছিদের কদর বাড়ে।”
স্থানীয় সচেতন মহল মনে করেন, খেজুর গাছ আমাদের অর্থনীতি, সংস্কৃতি ও জীবনধারার অংশ, তাই এ ঐতিহ্যকে সংরক্ষণ করা প্রয়োজন।
একুশে সংবাদ/এ.জে