জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলায় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয়ের পতিত জমি এখন সবুজের সমারোহে পরিণত হয়েছে। আগে যেখানে ঘাসে ভরে ছিল পুরো চত্বর, সেখানে এখন সারিবদ্ধ বস্তায় চাষ হচ্ছে পুঁইশাক, লাউ, সিম, আদা ও নানা জাতের বিষমুক্ত সবজি।
উপজেলা কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, অনাবাদি পতিত জমি ও বাড়ির আঙিনা ব্যবহার করে পারিবারিক পুষ্টি বাগান গড়ে তুলতে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এতে পতিত জমি কাজে লাগছে এবং বাড়ছে স্থানীয় মানুষের মধ্যে বিষমুক্ত সবজির চাষের আগ্রহ।
কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় চত্বরে শতাধিক বস্তায় সবজি ও ৭০০ বস্তায় আদা চাষ করা হয়েছে। পাশাপাশি লাগানো হয়েছে মাল্টা, পেঁপে, অরহর, পেয়ারা, বরই, ডালিম, লেবু, সজিনা ও কলাসহ নানা ফলের গাছ। কর্মকর্তারা নিয়মিত বাগানের পরিচর্যা করছেন এবং উৎপাদিত সবজি অফিসের কর্মচারীর চাহিদা মেটাচ্ছে; অপ্রয়োজনীয় ফসল বিতরণ করা হচ্ছে সেবাপ্রার্থীদের মধ্যে।
স্থানীয় কৃষক মজিবুর রহমান বলেন, “বস্তায় সবজি চাষ করা যায়—এটা আগে জানতাম না। কৃষি অফিসে গিয়ে দেখে এখন নিজেও বাড়িতে বস্তায় সবজি চাষের পরিকল্পনা করেছি।”
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. হাবিবুর রহমান বলেন, “এটি মূলত সচেতনতা তৈরির উদ্যোগ। পতিত জমি ও বাড়ির উঠান ব্যবহার করে বিষমুক্ত সবজি চাষে কৃষকদের উৎসাহিত করতে চাই। এতে পরিবারের পুষ্টি চাহিদা পূরণের পাশাপাশি বাড়তি আয়ও সম্ভব।”
তিনি আরও জানান, চলতি মৌসুমে মাদারগঞ্জ উপজেলায় প্রায় ৪০ হাজার বস্তায় আদা এবং ছয় হাজার বস্তায় বিভিন্ন সবজি চাষ করা হয়েছে।
একুশে সংবাদ/এ.জে