কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা উত্তর মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেছেন, অন্তবর্তী সরকারকে জনগণের দাবি অনুযায়ী পিআর (প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন) পদ্ধতি মেনে নিতে হবে। যারা বিগত সময়ে টাকার পাহাড় গড়ে তুলেছে, বিদেশে অর্থ পাচার করেছে এবং বিদেশে বসে দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা বিনষ্ট করছে — তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনতে হবে।
তিনি আরও বলেন, “মাত্র দুই দিন পর জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান সব দলের উপস্থিতিতে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেই অনুষ্ঠান পেছানোয় এখন বড় প্রশ্ন দেখা দিয়েছে—কেন এটি পিছিয়ে দেওয়া হলো?”
শনিবার (১২ অক্টোবর) সকালে লক্ষ্মীপুর জেলা জামায়াতের উদ্যোগে ‘জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ও পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনসহ ৫ দফা দাবি’ আদায়ে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল ও জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান শেষে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. রেজাউল করিম বলেন, “বর্তমান সরকারের ২–১ জন উপদেষ্টা কোনো কোনো দলের প্রতি পক্ষপাতমূলক আচরণ করছেন। আমরা কারও নাম নিতে চাই না, কিন্তু তারা যদি নিরপেক্ষতা বজায় না রাখেন এবং অবাধ নির্বাচনে বাধা হয়ে দাঁড়ান, তবে তাদের বিরুদ্ধেও দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।”
তিনি আরও বলেন, “শহীদদের রক্তের ওপর প্রতিষ্ঠিত এই সরকার যদি জনগণের ইচ্ছাকে অগ্রাহ্য করে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি না করে, কাউকে ক্ষমতায় বসানোর চেষ্টা করে, জুলাই সনদকে আইনি ভিত্তি দিতে ব্যর্থ হয় কিংবা তাতে গণভোট অন্তর্ভুক্ত না করে—তাহলে আমরা নতুন আন্দোলনের ডাক দেব।”
লক্ষ্মীপুর জেলা জামায়াতের আমির মাস্টার রুহুল আমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা সেক্রেটারি এ আর হাফিজ উল্যা, সাবেক সেক্রেটারি ফারুক হোসেন নূর নবী, অ্যাডভোকেট নছির আহমদ, নাছির উদ্দিন মাহমুদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
এর আগে লক্ষ্মীপুর শহরের উত্তর তেমুহনী প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণ থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়। পরে ৫ দফা দাবি নিয়ে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টার বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। এতে জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
একুশে সংবাদ/এ.জে