চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে ১০ বছরের স্কুলছাত্রী ধর্ষণের মূল আসামি তামিম হোসেনকে (১৮) গ্রেফতার করেছে জীবননগর থানা পুলিশ। বুধবার রাতে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মামুন হোসেন বিশ্বাসের নেতৃত্বে এসআই মিজান ও সঙ্গীয় ফোর্সসহ জীবননগর পৌর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
জানা গেছে, জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের গয়েশপুর গ্রামে ষষ্ঠ শ্রেণির এক শিক্ষার্থী ধর্ষণের শিকার হন। ধর্ষণের শিকার কিশোরীর পিতা বাদী হয়ে গয়েশপুর গ্রামের মামুন হোসেন ঘেনার ছেলে তামিম হোসেনের (১৮) বিরুদ্ধে গত শুক্রবার জীবননগর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার পর থেকে পলাতক ছিল তামিম। এরপর পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে বুধবার রাত ৮টার দিকে তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
উল্লেখ্য, ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর বাড়ির সামনে তামিম হোসেনের নানা বাড়ি। সে সেখানে থেকেই বসবাস করত। একই এলাকায় থাকার সুবাদে তামিম কৌশলে ভুক্তভোগী ছাত্রীকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। গত ২ অক্টোবর রাত আনুমানিক ১০টার দিকে ভুক্তভোগী প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘর থেকে বাইরে বের হলে পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা তামিম তাকে মুখ চেপে ধরে জোরপূর্বক তার নানা সোহরাব হোসেনের বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে একটি কক্ষে তাকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করা হয়।
এদিকে স্কুলছাত্রীকে ঘরে না পেয়ে তার মা আশপাশে খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন। এক পর্যায়ে কান্নার শব্দ শুনে তামিমের ঘর থেকে মেয়েকে উদ্ধার করেন। পরে ভুক্তভোগীর পিতা জীবননগর থানায় ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন।
জীবননগর থানার ওসি মো. মামুন হোসেন বিশ্বাস বলেন, “ধর্ষণ মামলা হওয়ার পর থেকে আসামি তামিম পলাতক ছিল। পরবর্তীতে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে পৌর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।”
একুশে সংবাদ/এ.জে