বাওড়ে মাছ ধরতে গিয়ে নয়ন মন্ডল (১১) নামের এক শিশু পানিতে ডুবে সলিল সমাধি হয়েছে। ওই ঘটনায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ইয়ামিন মন্ডল (১০) ও তুহিন মন্ডল (১০) নামের আরও দুই শিশু। বুধবার এই ঘটনা ঘটেছে স্থানীয় জয়দিয়া বাওড়ে।
জয়দিয়া বাওড়পাড়ের মিনারুল ইসলাম বলেন, "মঙ্গলবার বাওড়ে বিষ ছিটানো হয়, যা বাওড়ের মালিক বিজয় হালদার করেছিলেন। এরপর থেকে বাওড়ের মাছ মারা ভেসে ওঠতে থাকে। খবর পেয়ে বুধবার সকাল থেকে স্থানীয় হাজার হাজার মানুষ ওই মরা মাছ ধরতে ছুটে আসেন। তাদের সঙ্গে আসেন লক্ষিকুন্ড মন্ডল পাড়ার তিন শিশু। এদের মধ্যে ছিল এনামুল মন্ডলের ছেলে নয়ন মন্ডল (১১)। সে ৫ম শ্রেণীর ছাত্র ছিলেন। অন্যদিকে জিয়াউর রহমান মন্ডলের ছেলে ইয়ামিন মন্ডল (১০) ও মিন্টু মন্ডলের ছেলে তুহিন মন্ডল (১০)। ওই দুই শিশু ৩য় শ্রেণীর ছাত্র ছিলেন।"
মিনারুল ইসলাম আরও বলেন, "বাওড়ে মাছ ধরতে গিয়ে নয়ন মন্ডল পানিতে ডুবে মারা যান। আর ইয়ামিন ও তুহিন গুরুতর আহত হন। বর্তমানে তারা কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।"
ওই গ্রামের আব্দার রহমান জানান, "বাওড়ের কুলেই আমার বাড়ি। আমি মাঠ থেকে এসে নামাজের জন্য অজু করছিলাম। তখন বাঁচাও-বাঁচাও চিৎকার শুনতে পাই। এরপর ছুটে গিয়ে পরপর জীবিত অবস্থায় দুইটি বাচ্চাকে উদ্ধার করে তীরে আনা হয়। কিছুক্ষণের মধ্যে নয়নকে পাওয়া গেল, তবে সে সময় সে বেঁচে ছিল না।"
কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ও জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আশরাফুল ইসলাম বলেন, "বাওড়ে পানিতে ডুবে গুরুতর আহত দুই শিশুকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। ওই দুই জনকে চিকিৎসা দিয়ে ভর্তি রাখা হয়েছে। তাদের অবস্থা কিছুটা ভালো।"
কোটচাঁদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন মাতুব্বর বলেন, "মৌখিকভাবে মৃত্যুর খবর শুনেছি। তবে লিখিত কোনো অভিযোগ এখনও কেউ করেনি।"
একুশে সংবাদ/এ.জে