জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)‘র উত্তরাঞ্চলের মূখ্য সংগঠক সারজিস আলম অভিযোগ করেছেন, নির্বাচন কমিশন অন্য কারও প্রভাবে প্রভাবিত হয়ে এনসিপিকে ‘শাপলা’ প্রতীক দিচ্ছে না।
মঙ্গলবার রাতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের একটি রেস্তোরাঁয় জেলা ও উপজেলা কমিটির সমন্বয় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
সারজিস আলম বলেন, “আমরা বলেছি, শাপলা আমরা আইনগতভাবে পাই—শাপলা দিয়ে দিন, কথা শেষ। কিন্তু আইনগতভাবে পাওয়ার পরও যদি আপনি না দেন, তার মানে স্বেচ্ছাচারিতা করছেন। আপনি বলছেন, শাপলা দেব না, কিন্তু ব্যাখ্যাও দিচ্ছেন না। অর্থাৎ, আপনি কারও প্রভাবে প্রভাবিত হয়ে আমাদের শাপলা প্রতীক দিচ্ছেন না।”
তিনি নির্বাচন কমিশনকে মেরুদণ্ড সোজা রাখার আহ্বান জানিয়ে আরও বলেন, “একটি স্বাধীন ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে এ ধরনের আচরণ গ্রহণযোগ্য নয়। নির্বাচনের আগে যদি কোনো দলের আইনগতভাবে প্রাপ্য প্রতীক দিতেই অনীহা থাকে, তাহলে এই নির্বাচন কমিশনের প্রতি আস্থা রাখব কীভাবে?”
‘কিছু উপদেষ্টার সেফ এক্সিট’ বিষয়ে এনসিপি আহ্বায়কের বক্তব্য প্রসঙ্গে মহিলা ও শিশু বিষয়ক উপদেষ্টা শারমিন এস. মুরশিদের মন্তব্যের জবাবে সারজিস আলম বলেন, “যে উপদেষ্টা বলেছেন এসব অভিযোগ সত্য নয়—তার ক্ষেত্রে হয়তো তা সত্য নয়। কিন্তু আমাদের পর্যবেক্ষণ ভিন্ন। রুটিন দায়িত্বের বাইরে তাঁরা কী কী সংস্কার করেছেন, ভবিষ্যতে জনগণের কীভাবে সুফল পাবেন, তা গণমাধ্যমের মাধ্যমে প্রকাশ করুন।”
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “মৃত্যু ছাড়া উপদেষ্টাদের কোনো ‘সেফ এক্সিট’ নেই।”
তিনি বিএনপি-জোটকে উদ্দেশ করে বলেন, “যে দলটি এখন বেশি আষ্ফালন করছে, তাদের জনপ্রিয়তা দ্রুত কমছে। মানুষের আকাঙ্ক্ষার বিপরীতে অবস্থান নেওয়ার ফল তারা আগামী নির্বাচনে টের পাবে।”
ফেব্রুয়ারির জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে মাঠপর্যায়ে দলীয় নেতা-কর্মীদের সংগঠিত ও উজ্জীবিত করতে তিনি সফর করছেন বলে জানান সারজিস আলম। তিনি আশা প্রকাশ করেন, “দলীয় সংগঠন শক্তিশালীভাবে গড়ে তুলতে পারলে এনসিপি আগামী নির্বাচনে সরকার গঠন অথবা শক্তিশালী বিরোধী দলের ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।”
সভায় সভাপতিত্ব করেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা সমন্বয়কারী আলাউল হক।বিশেষ অতিথি ছিলেন এনসিপি রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান ইমন।
এছাড়া জেলা কমিটির সদস্য, জুলাই যোদ্ধা ও এনসিপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
একুশে সংবাদ/এ.জে