নওগাঁর পত্নীতলায় হঠাৎ প্রবল ঝড় ও বৃষ্টিতে বহু ঘরবাড়ি, গাছ এবং ফসলের মাঠ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতির সঠিক পরিমাণ এখনো জানা যায়নি। স্থানীয় প্রশাসন জরুরি ভিত্তিতে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ শুরু করেছে।
শনিবার (৪ অক্টোবর) বিকাল সাড়ে তিনটায় শুরু হওয়া ঝড়ের তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড হয়েছে ঘরবাড়ি, ফসলের মাঠ ও গাছপালা। পরে উপজেলা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন এবং স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকরা উদ্ধারকাজ করেন।
স্থানীয়রা জানান, বিকেল পৌনে চারটার দিকে হঠাৎ আকাশে কালো মেঘ জমে যায় এবং অল্প সময়ের মধ্যে প্রবল ঝড় শুরু হয়। মুষলধারে বৃষ্টি ও বজ্রপাতের কারণে পুরো এলাকা বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। বিদ্যুৎ ব্যবস্থা অচল হয়ে যায় পুরো উপজেলায়। গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় বিদ্যুৎ প্রায় ১০ ঘণ্টা পর সচল করা হয়। রোববার বেলা ১টা পর্যন্ত কিছু গ্রামে পর্যায়ে বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা সচল করতে কাজ চালাচ্ছে বিদ্যুৎ বিভাগ।
সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতির কবলে পড়েছে গগনপুর, ভাবিচা মোড়, ব্যাংডোম, বনিল্লা, বাবনাবাজ, দোচাই, শম্ভুপুর, কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের কয়েকটি পাড়া, রামজীবনপুর (যুগীবাড়ি) ও কাঁটাবাড়ি সহ আরও কিছু গ্রাম। এমতাবস্থায় ক্ষতিগ্রস্তরা সরকারি ও বেসরকারি ত্রাণের জন্য অপেক্ষায় রয়েছেন।
পত্নীতলা উপজেলা কৃষি অফিসার সোহরাব হোসেন জানান, “উপজেলার নজিপুর পৌরসভা, নজিপুর, পাটিচরা ও কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের মোট ২৩,৪২৫ হেক্টর আবাদের মধ্যে ঝড় ও বৃষ্টিতে রোপা আমন ২০ হেক্টর জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উপজেলায় ৭৫ হেক্টর আবাদের মধ্যে কলা বাগান ৫২.৫ হেক্টর এবং ২৫ হেক্টর আবাদের মধ্যে পেঁপে গাছের ১ হেক্টর জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আনুমানিক ক্ষতি হয়েছে ৪ কোটি ৭২ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং ১.৫ লাখ টাকা।”
পত্নীতলা ইউএনও আলীমুজ্জামান মিলন জানান, “ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে। সরকারি সহযোগিতার ত্রাণ কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে ভুক্তভোগীদের তালিকা তৈরি করে সরকারি অনুদানের মাধ্যমে সাহায্য প্রদান করা হবে।”
একুশে সংবাদ/এ.জে