AB Bank
  • ঢাকা
  • রবিবার, ০৫ অক্টোবর, ২০২৫, ২০ আশ্বিন ১৪৩২

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

ঠাকুরগাঁওয়ে এসিল্যান্ডের নির্দেশে গাছ কেটে শোকজ তহসিলদার



ঠাকুরগাঁওয়ে এসিল্যান্ডের নির্দেশে গাছ কেটে শোকজ তহসিলদার

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ভূল্লী থানাধীন বালিয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সরকারি গাছ টেন্ডার ছাড়াই কাটার অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা (তহসিলদার) আবুল কালাম আজাদ এর বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় তাকে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দিয়েছেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আশাদুল হক।

শনিবার (৪ অক্টোবর) এসিল্যান্ডের স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে তহসিলদারকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে লিখিতভাবে জবাব দিতে বলা হয়।

চিঠিতে বলা হয়, গত বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) তহসিলদার কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া ভূমি অফিস প্রাঙ্গণের আটটি গাছ কর্তন করেছেন, যা সরকারি বিধির পরিপন্থী।

অভিযোগের বিষয়ে তহসিলদার আবুল কালাম আজাদ জানান, গাছগুলো তিনি এসিল্যান্ডের মৌখিক নির্দেশে কেটেছেন।
তিনি বলেন, “স্যার (এসিল্যান্ড) নিজেই অফিসে এসে বিষয়টি বলেছেন এবং উপজেলা ইঞ্জিনিয়ারের সঙ্গে কথা বলেছেন। নতুন ভবন নির্মাণের জন্য জায়গা খালি রাখতে গাছগুলো কাটা প্রয়োজন ছিল।”

তিনি আরও দাবি করেন, “আমি আগেই লিখিতভাবে অনুমতির আবেদন করেছিলাম। ইউএনও স্যারও বলেছিলেন, ভবন নির্মাণের সময় গাছগুলো এক পাশে রেখে দিতে।”

তবে ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিষয়টি ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়ভাবে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম নেয়। এরপর এসিল্যান্ড তহসিলদারকে শোকজ করেন বলে জানা গেছে।

স্থানীয়রা বলেন, “তহসিলদার একা গাছ কাটতে পারেন না। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নির্দেশ ছাড়া এটি সম্ভব নয়। কিন্তু দায় এড়াতে কর্মকর্তারা প্রায়ই নিম্নপদস্থদের ওপর দোষ চাপিয়ে দেন।”

তাদের অভিযোগ, “কাটা গাছগুলোর বাজারমূল্য এক লাখ টাকার বেশি। সরকারি সম্পদ টেন্ডার ছাড়া কর্তন সরকারের আর্থিক ক্ষতি ডেকে আনছে।”
তারা তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. খাইরুল ইসলাম বলেন, “নির্দেশ দিলেই গাছ কাটতে হবে—এটা আইনের ভাষা নয়। ভবন নির্মাণের আগে গাছ কাটা বা টেন্ডার দিতে হলে নির্ধারিত প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে।”

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) বুলবুল আহমেদ বলেন, “বিষয়টি আমার জানা নেই। যদি এমন ঘটনা ঘটে থাকে, তাহলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

অন্যদিকে, এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আশাদুল হকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি এবং পরবর্তীতে ফোন বন্ধ করে রাখেন।

 

একুশে সংবাদ/এ.জে

সর্বোচ্চ পঠিত - সারাবাংলা

Link copied!