কিশোরগঞ্জের ভৈরবে সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে পিতা-পুত্রসহ পাঁচজন আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন পিতা কামাল মিয়া (৫৫) ও পুত্র তোফাজ্জল হক (৩০)। গুরুতর আহত পুত্রকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে।
ঘটনার পর গত রোববার থানায় ১০ জনকে আসামী করে একটি মামলা করেছেন পিতা কামাল মিয়া (মামলা নং-৩৮)।
পিতা কামাল মিয়া মঙ্গলবার দুপুরে ভৈরব টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, প্রতিপক্ষের সঙ্গে তার প্রতিবেশী কয়েকজনের দীর্ঘদিন যাবত সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ চলছিল। এর জের ধরে গত ২৪ সেপ্টেম্বর বুধবার রাত ৯টার দিকে প্রতিপক্ষরা পরিকল্পিতভাবে তার ছেলে ও তার ওপর আক্রমণ করে। এ সময় তাদের লোকজনের সঙ্গে তার লোকজনের সংঘর্ষ বাঁধে।
কামাল মিয়ার অভিযোগ, "ছেলেকে মারধরের সময় আমি ও আমার লোকজন বাঁধা দিলে তারা আমাকে সহ কয়েকজনকে মারধর করে গুরুতর আহত করে।"
তিনি আরও জানান, "ঘটনার বিচার চেয়ে আমি ফারুক মিয়াকে প্রধান আসামী করে থানায় মামলা করেছি, কিন্তু পুলিশ এখনও কোনো আসামীকে গ্রেফতার করেনি। থানা পুলিশ আমার প্রতিপক্ষের কাউন্টার মামলাও গ্রহণ করেছে, যেখানে বিদেশে থাকা আমার দুই ভাই—গোলাপ মিয়া ও বাবুল মিয়াকে আসামী করা হয়েছে। ঘটনাকালীন সময়ে তারা দেশে ছিলেন না। এই মিথ্যা মামলার এফআইআর না করার জন্য আমি ওসিকে অনুরোধ করেছি।"
সংবাদ সম্মেলনে কামাল মিয়া বলেন, "ঘটনার দিন প্রতিপক্ষের আঘাতে আমার ছেলে গুরুতর আহত হয়েছে। মামলা করার তিনদিন পার হলেও পুলিশ আসামীদের গ্রেফতার করছে না। ঘটনার কঠোর বিচার দাবি করছি।" সংবাদ সম্মেলনে আহতসহ স্থানীয় মেম্বার ও অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।
ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ খন্দকার ফূয়াদ রুহানি জানান, "কামাল মিয়ার মামলা এফআইআর রেকর্ড করা হয়েছে। প্রতিপক্ষের মামলা এখনও এফআইআর করা হয়নি। তাদের অভিযোগ তদন্ত করা হচ্ছে। প্রবাসীর নাম থাকলে তাদেরকে আসামী করা হবে না। মামলার আসামী গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে এবং তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"
একুশে সংবাদ/এ.জে