গাজীপুরের কালীগঞ্জে অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য নির্মাণাধীন বীরনিবাস প্রকল্পে কাজ চলমান রয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক উন্নয়ন প্রকল্প ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় ‘‘৩য় পর্যায়ে’’ ‘‘অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আবাসন নির্মাণ’’ প্রকল্প তদারকি করছে উপজেলা প্রশাসনের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ। এই প্রকল্পের আওতায় ১১টি পাকা দালান ঘর নির্মাণ কাজ চলমান।
প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, একতলা আধুনিক প্রতিটি বীরনিবাসে থাকবে দুইটি শয়নকক্ষ, ড্রইং, ডাইনিং, রান্নাঘর এবং দুটি বাথরুমসহ অন্যান্য আধুনিক ব্যবস্থা। প্রতিটি ঘরের আয়তন ৬৩৫ বর্গফুট। টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে চলতি বছরের মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে। প্রতিটি ঘরের ব্যয় ধরা হয়েছে ১৮,৮৬,৬৪৬ টাকা। ১১টি ঘরের মোট প্রাক্কলিত বরাদ্দ ২ কোটি ৭ লাখ ৫৩ হাজার ১১৪ টাকা। সরকারের লক্ষ্য হলো অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারকে স্থায়ী ও মানসম্মত আবাসনের ব্যবস্থা করা।
সম্প্রতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এ.টি.এম কামরুল ইসলাম ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা নির্মাণাধীন বীরনিবাস প্রকল্প পরিদর্শন করেছেন। সরেজমিনে দেখা গেছে, পৌরসভার বড়নগর এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আতাহার আলীর বীরনিবাসের কাজ চলমান। ছাদ ঢালাইয়ের কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। বীর মুক্তিযোদ্ধা আতাহার আলী আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, “নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর এই দেশ পেয়েছি। বসবাসের জন্য আমার ঘর ছিল না। সরকার আমাকে ঘর দেওয়ায় কৃতজ্ঞতা জানাই। আশা করি ভবিষ্যতে সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আরও ভালো কিছু করবে।”
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ জানান, অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ১১টি বীরনিবাসের কাজ চলমান রয়েছে। প্রতিকুল আবহাওয়ার কারণে নির্মাণ কাজ কিছুটা বিলম্বিত হলেও আশা করা যায়, আগামী নভেম্বরের মধ্যে কাজ সম্পন্ন হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ.টি.এম কামরুল ইসলাম প্রতিবেদককে বলেন, “শুধুমাত্র অসচ্ছল ও প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা এই আবাসন সুবিধা পাবেন। ভবিষ্যতে সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ধাপে ধাপে প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রকৃত অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধারাও এ সুবিধার আওতায় অন্তর্ভুক্ত হবেন।”
একুশে সংবাদ/এ.জে