চলে গেলেন ফরিদপুরের বোয়ালমারীর লোককবি, শায়ের ও পত্রিকা পরিবেশক আব্দুল গফফার শেখ। লিভার ও কিডনি রোগে ভুগে দীর্ঘদিন শয্যাশায়ী থাকার পর রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টার দিকে নিজ বাড়িতে তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৮ বছর।
আব্দুল গফফার শেখ উপজেলার গুনবহা ইউনিয়নের চাপলডাঙ্গা গ্রামের মৃত আব্দুল বারিক শেখের ছেলে। তিনি গ্রামীণ কাহিনি ও গল্পের অনুষঙ্গ নিয়ে শায়েরি বা লোককবিতা রচনা ও পরিবেশনের মাধ্যমে ব্যাপক পরিচিতি পান। পরবর্তীতে জীবিকার তাগিদে স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকা বিক্রির সঙ্গেও যুক্ত হন।
রবিবার বিকালে চাপলডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে তাঁর নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় ইমামতি করেন তাঁর মেঝো ছেলে হাফেজ মাওলানা মো. হাবিবুর রহমান। জানাজাপূর্ব বক্তব্য দেন গুনবহা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম সিরাজ এবং চর-ধোপাপাড়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আব্দুল কুদ্দুস সুলতানীসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বোয়ালমারী প্রেসক্লাবের সভাপতি ও সাপ্তাহিক বোয়ালমারী বার্তা সম্পাদক অ্যাড. কোরবান আলী, কাজী সিরাজুল ইসলাম মহিলা কলেজের সহযোগী অধ্যাপক আলমগীর হোসেনসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
পরবর্তীতে ছোলনা মাদ্রাসা গোরস্থানে তাঁর দাফন সম্পন্ন হয়। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, চার ছেলে, চার মেয়ে ও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
আব্দুল গফফার শেখের মৃত্যুতে এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। উপজেলা বিএনপি নেতা ও শিক্ষানুরাগী মো. মফিজুল কাদের খান মিল্টনসহ বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠন শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন।
একুশে সংবাদ/এ.জে