মহাষষ্ঠীর মধ্যে দিয়ে রোববার থেকে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ১২৯ মন্দিরে শারদীয় দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। মন্দিরগুলোতে এবারে কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন প্রশাসন। আনসার সদস্যদের পাশাপাশি ইউনিয়ন ভিত্তিক পুলিশের মোবাইল টিম, বিজিবি ও সেনাবাহিনীর টহল টিম দায়িত্ব পালন করছেন।
উপজেলা আনসার ভিডিবি অফিসার স্বরূপ বিশ্বাস বলেন, “একটি পৌরসভা ও ১৫টি ইউনিয়নের ১২৯টি পুজা মন্দিরে ৮২৪ জন আনসার সদস্য নিয়োজিত রয়েছেন। প্রতিটি মন্দিরে ২ জন নারীসহ ৬ থেকে ৮ জন আনসার সদস্য দায়িত্বে রয়েছেন। এছাড়া গ্রাম পুলিশের সদস্যগণও দায়িত্ব পালন করবেন।”
উপজেলা পুজা উদযাপন কমিটির সভাপতি দীপক কুমার বাবলু বলেন, “মহাষষ্ঠীর মধ্যে উপজেলার ১২৯টি মন্দিরে দূর্গা পুজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। পুজার নিরাপত্তা রক্ষায় প্রশাসন অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন। এবারে বেশিভাগ মন্দির-মন্ডপে রেডিমেট প্রতিমা দিয়ে দুর্গোৎসব পালন হচ্ছে। তাই ঝুঁকি অনেকটা কম।”
থানার ওসি মো. আব্দুল হাকিম আজাদ বলেন, “এবার দূর্গা পুজা নিয়ে পুলিশ অনেকটা সচেতন। উপজেলার ৬টি মন্দিরে আনসার সদস্যদের পাশাপাশি একজন করে পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন। বিজিবি টহল টিম এখনও পৌঁছায়নি। তবে সেনাবাহিনীর টহল টিম ইতিমধ্যে টহল দিতে শুরু করেছে। ইউনিয়ন ভিত্তিক পুলিশের মোবাইল টিমও কাজ করছে।”
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজ কুমার বিশ্ববাস বলেন, “আসন্ন দুর্গোৎসবকে সামনে রেখে প্রশাসন এবারে অত্যন্ত সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। আশা করছি উৎসবটি সুষ্ঠুভাবে পালিত হবে।”
একুশে সংবাদ/এ.জে