বাংলাদেশের জাতীয় মাছ ইলিশের সুষ্ঠু প্রজনন নিশ্চিত করতে চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনাসহ বিভিন্ন নদীতে ২২ দিনের জন্য ইলিশ মাছ ধরা সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। একই সঙ্গে ইলিশ মাছের পরিবহন, মজুদ, ক্রয় ও বিক্রয়ও নিষিদ্ধ থাকবে। এই নিষেধাজ্ঞা ৪ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।
চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শ্রীবাস চন্দ্র চন্দ জানান, এই সময় মা ইলিশ ডিম ছাড়ে এবং দেশের নদ-নদী ও সাগরে ইলিশের প্রজনন ঘটে সবচেয়ে বেশি। তাই এই সময়টিকে বলা হয় ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুম। এ সময় মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানও বাস্তবায়ন করা হবে।
তিনি আরও জানান, এ সংক্রান্ত জেলা টাস্কফোর্সের মিটিং ২৮ অক্টোবর বিকেল ৩টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হবে।
চাঁদপুর মৎস্য বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শবেবরাত সরকার বলেন, “এ বছর ইলিশে ব্যবসায়ীরা সক্রিয় হলেও ধরা মাছের পরিমাণ বিগত বছরের তুলনায় কম। সামনের কয়েক দিন ঘাটে ইলিশের আমদানি বাড়বে বলে আশা করা যাচ্ছে।”
এদিকে চাঁদপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র বড়স্টেশন মাছঘাটে সরজমিনে দেখা গেছে, অন্যান্য দিনের তুলনায় সড়কযোগে ইলিশের আমদানি কিছুটা বেড়েছে। ছোট ইলিশের দাম কমলেও বড় ইলিশের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
ব্যবসায়ী ও জেলেরা জানান, প্রজনন মৌসুমের কারণে নদীতে ছোট সাইজের ইলিশ বেশি এসেছে। সমুদ্র থেকে মাছ উঠা শুরু হয়েছে, আর বড় সাইজের মাছ কিছুটা পরে আসবে। নিষেধাজ্ঞা শুরু হওয়ার আগে জেলেরা মাছ শিকারে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।
একুশে সংবাদ/এ.জে