নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় স্কুলছাত্রী অপহরণের ঘটনায় দীর্ঘ ৮ বছর পলাতক থাকার পর প্রধান আসামি মো. আল-আমিন (২৮) অবশেষে পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ঢাকার কদমতলী এলাকা থেকে পিবিআই নারায়ণগঞ্জ তাকে গ্রেপ্তার করে।
আল-আমিন শরীয়তপুর জেলার জাজিরা থানার সেনেরচর চন্দ্রপুর গ্রামের মৃত আবুল খায়ের সরদারের ছেলে।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার মাসদাইর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী রেহানা আক্তার (ছদ্মনাম, ১৩) স্কুলে যাতায়াতের পথে আল-আমিন তাকে উত্যক্ত করতো এবং কুপ্রস্তাব দিতো। অভিযোগ করলে আসামির মামা মো. রানা বাদীকে হুমকি ও গালাগাল করে।
২০১৭ সালের ১৮ এপ্রিল সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে রেহানা আক্তার স্কুলে যাওয়ার পথে পাগলা মসজিদ মার্কেট এলাকায় আল-আমিনসহ সহযোগীরা জোরপূর্বক তাকে অপহরণ করে।
এরপর ২০ এপ্রিল ভুক্তভোগীর বাবা মো. রুহুল আমিন বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী ২০০৩) এর ৭/৩০ ধারায় মামলা করেন (ফতুল্লা থানার মামলা নং ৭৭/১৭)।
তদন্ত চলাকালে ফতুল্লা থানা পুলিশ ২৬ এপ্রিল ভিকটিমকে উদ্ধার করে এবং দুইজন আসামিকে গ্রেপ্তার করে। তবে মূল আসামি আল-আমিন দীর্ঘদিন পলাতক থাকায় তদন্তে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। বাদী সে রিপোর্টে অসন্তুষ্ট হয়ে আদালতে নারাজি আবেদন করলে, মামলাটি পুনরায় পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত।
পিবিআই তদন্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক মো. আব্দুল বাতেন মিয়া তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় আল-আমিনের অবস্থান শনাক্ত করেন। পরে ঢাকার কদমতলী থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আল-আমিন অপহরণের ঘটনা স্বীকার করেছে বলে জানায় পিবিআই।
শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) আসামিকে আদালতে হাজির করে ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। মামলার তদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
একুশে সংবাদ/এ.জে