সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান শারদীয় উৎসব দুর্গাপূজা উপলক্ষে দেশের বৃহত্তম বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে টানা ৬ দিন আমদানি-রফতানি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। তবে, এ সময়ে বন্দর ও কাস্টমসের পণ্য খালাসের কাজ এবং দুই দেশের মধ্যে পাসপোর্টধারী যাত্রী চলাচল স্বাভাবিক থাকবে। বিশেষ ব্যবস্থায় ইলিশ মাছের রফতানি অব্যাহত থাকবে।
বেনাপোল সি অ্যান্ড এফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক লতা বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের সি অ্যান্ড এফ এজেন্টরা চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন যে ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে ২ অক্টোবর পর্যন্ত আমদানি-রফতানি বন্ধ থাকবে। এর সঙ্গে ৩ অক্টোবর বাংলাদেশের সাপ্তাহিক ছুটি যুক্ত হওয়ায় মোট ৬ দিন কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং এজেন্টস স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্ত্তিক চক্রবর্তী বলেন, ৪ অক্টোবর (শনিবার) সকাল থেকে আমদানি-রফতানি পুনরায় শুরু হবে। তবে ইলিশ মাছ রফতানি বিশেষ ব্যবস্থায় অব্যাহত থাকবে।
বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক শামীম হোসেন জানান, এ সময়ে আমদানি-রফতানি বন্ধ থাকলেও লোড-আনলোড ও কাস্টম্সের কাজ চলবে। বন্দরে মালামাল আনলোড করে ভারতীয় খালি ট্রাক ফিরে যেতে পারবে।
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের অফিসার ইনচার্জ ইলিয়াছ হোসেন মুন্সী জানিয়েছেন, আমদানি-রফতানি বন্ধ থাকলেও দুই দেশের মধ্যে পাসপোর্টধারী যাত্রীদের যাতায়াত স্বাভাবিক থাকবে।
বেনাপোল বন্দরের মাধ্যমে প্রতিদিন ভারত থেকে প্রায় ৩শ’ থেকে ৩৫০ ট্রাক পণ্য আমদানি হয় এবং প্রায় ১শ’ ট্রাক পণ্য ভারতে রফতানি করা হয়। দেশের আমদানি পণ্যের প্রায় ৯০ ভাগ এই বন্দর দিয়ে আসে। ব্যবসায়ী ও বন্দর ব্যবহারকারীরা আশঙ্কা করছেন, টানা ৬ দিন আমদানি-রফতানি বন্ধ থাকায় শিল্প-কারখানার কাঁচামালসহ বিভিন্ন পণ্যের সরবরাহে প্রভাব পড়তে পারে।
একুশে সংবাদ/এ.জে