চুয়াডাঙ্গায় ধর্ষণ মামলায় এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা দিয়েছেন আদালত। রোববার দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্র্যাইব্যুনালের বিচারক সৈয়দ হাবিবুল ইসলাম আসামীর উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
দন্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামী হলো চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার বুজরুকগড়ি মাদরাসাপাড়ার সিরাজুল ইসলামের ছেলে খাইরুল ইসলাম (২৪)।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০২৪ সালের ৮ সেপ্টেম্বর বিকেলে খাইরুল ইসলাম মামলার বাদীর সপ্তম শ্রেণীর পড়ুয়া মেয়েকে বাড়ি থেকে কৌশলে ডেকে চুয়াডাঙ্গা মহিলা কলেজ রোড থেকে অটোতে তুলে নেয়। পরদিন দিবাগত রাত ১টার দিকে মেয়েকে শহরের সুমিরদিয়া এলাকার একটি হলুদ ও আমবাগানে নিয়ে যায় এবং মেয়ের ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে। মেয়ের চিৎকার করলে তার মুখ চেপে ধরে এবং ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। পরবর্তীতে মাদরাসার পেছনের বিলের মধ্যে মেয়েকে খুঁজে পেয়ে বাড়ি ফিরিয়ে আনা হয়। পরে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় মেয়ের বাবা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার উপ-পরিদর্শক জগদীশ চন্দ্র বসু মামলাটি তদন্ত করে খাইরুল ইসলামকে একমাত্র আসামী হিসেবে ২০২৪ সালের ২০ নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এর আগে চুয়াডাঙ্গার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১ম আদালতের বিচারক মো. তৌহিদুল ইসলাম ফৌজদারী কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় আসামীর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি গ্রহণ করেন। মামলার সাক্ষ্য-প্রমাণ পর্যালোচনার পর আদালত আসামীর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় উপরের রায় দেন।
চুয়াডাঙ্গার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্র্যাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এমএম শাহজাহান মুকুল বলেন, “ধর্ষণ মামলাটি আদালতে প্রমাণিত হওয়ায় আসামী খাইরুল ইসলামের বিরুদ্ধে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা দেওয়া হয়েছে। এ রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ সন্তোষ প্রকাশ করছে।”
একুশে সংবাদ/চু.প্র/এ.জে