লক্ষ্মীপুর পৌরসভার প্রশাসক এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মো. জসিম উদ্দিন বলেছেন, “দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে প্রতিনিয়ত চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। তারপরও আমি সকল কিছু মোকাবেলা করে পৌরবাসীর কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছি। সীমাবদ্ধতা থাকায় ইচ্ছা থাকলেও অনেক কিছু করতে পারছি না। তবে পৌরবাসীর প্রতি অনুরোধ, আমার কিংবা পৌরসভার সমস্যাগুলো সর্বপ্রথম আমাকে জানাবেন। যদি আমি ব্যবস্থা না নিই, অথবা আমার জবাবে সন্তুষ্ট না হন, তাহলে বিদ্রুপ মন্তব্য ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।”
লক্ষ্মীপুর পৌর আধুনিক বিপণি বিতানে পৌরসভা কার্যালয় স্থানান্তরিত উপলক্ষে সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
উন্নয়ন কাজের গুণগত মান নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করলে প্রশাসক বলেন, “কয়েকটি রাস্তা যথাযথভাবে সংস্কার হয়নি। সেগুলো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং পুনঃসংস্কারে বাধ্য করা হয়েছে। যারা মানেনি, তাদের কাজের বিল বন্ধ করা হয়েছে। এছাড়াও অন্যান্য সেবার বিষয়ে যে অভিযোগ এসেছে, তারও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। কোথাও কোনো নিয়ম ভঙ্গ করা হয়নি।”
তিনি আরও উল্লেখ করেন, “অতীত ইতিহাস খুবই খারাপ। ২৬ কোটি টাকা ঋণ, যার মধ্যে ৪.৫ কোটি টাকা বিদ্যুৎ বিল এবং ৬ কোটি টাকা কর্মচারিদের বকেয়া বেতন। অথচ প্রতি মাসে খরচ বাদে ৬০ থেকে ৬৫ লাখ টাকা উদ্বৃত্ত থাকে। এত টাকা উদ্বৃত্ত থাকা সত্ত্বেও কেন ২৬ কোটি টাকা ঋণ হলো, তার সঠিক উত্তর প্রকাশ করা সম্ভব নয়, তবে আপনাদের ধারণা আছে।”
এর আগে ফিতা কেটে নতুন কার্যালয়ের উদ্বোধন করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী বিলকিস আক্তার, জেলা মহিলা বিষয়ক কার্যালয়ের উপপরিচালক সুলতানা জোবেদা খানম, চৌমুহনী এস.এ কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর জেড.এম. ফারুকী, পুলিশ লাইন্স স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ সাইফুল ইসলাম ভূইয়া তপন, জেলা জামায়াতের সাবেক সেক্রেটারি ফারুক হোসেন নুর নবী, বণিক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবদুল আজিজ, সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা খান মোহাম্মদ ফারাবী, পৌরসভা নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জুলফিকার হোসেন, সাংবাদিক আ.হ.ম. মোস্তাকুর রহমান, সাইদুল ইসলাম পাভেল প্রমুখ।
একুশে সংবাদ/ল.প্র/এ.জে