চট্টগ্রাম জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা সোমবার সার্কিট হাউসের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ফরিদা খানম। এতে জেলা ও মহানগর এলাকার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
বিশেষ করে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে জোর দেওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন থানায় লুণ্ঠিত অস্ত্র পুনরুদ্ধার, পূর্বে ইস্যুকৃত অস্ত্রের বৈধতা যাচাই, অযোগ্য ব্যক্তির লাইসেন্স বাতিল এবং সব ধরনের অস্ত্রের ওপর গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।
সভায় গ্রাম আদালতের চেয়ারম্যানদের অনুপস্থিতিতে মামলা নিষ্পত্তি ব্যাহত হওয়ায় ইউনিয়ন পরিষদকে আরও সক্রিয় করার আহ্বান জানানো হয়। মাদকদ্রব্য উদ্ধার ও রেলপথে মাদক চোরাচালান রোধে টাস্কফোর্স অভিযান চালানোর সিদ্ধান্তও গৃহীত হয়। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে বাজার মনিটরিং ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়।
কিশোর অপরাধ ও কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণ, অনিবন্ধিত সিএনজি শনাক্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ, চিহ্নিত স্থানে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ করে ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতন প্রতিরোধ, উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা, অবৈধ বালি উত্তোলন বন্ধ, পাহাড় কাটা রোধ, খুন-ডাকাতি-চাঁদাবাজি প্রতিরোধ, নারী ও শিশু নির্যাতন রোধ এবং জানমাল রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়। যানজট নিরসনে ফুটপাত দখল করে দোকান স্থাপন বন্ধের নির্দেশও দেওয়া হয়।
এছাড়া কৃষি খাতে ব্লক সুপারভাইজারদের দায়িত্বশীলতা বৃদ্ধির ওপর জোর দিয়ে বলা হয়, সার ও বীজ বিতরণ এবং কৃষি পরামর্শ প্রদানে সমন্বিত পদক্ষেপ নিয়ে কৃষকদের ক্ষতি রোধ করতে হবে। রাউজানসহ জেলার ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় রাজনৈতিক অপতৎপরতা নিয়ন্ত্রণে পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দেওয়া হয়।
জন্মাষ্টমী ২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে যানজট নিরসনে অতিরিক্ত পুলিশ ফোর্স মোতায়েন এবং অনুষ্ঠানস্থলে নিরাপত্তা নিশ্চিতে গোয়েন্দা নজরদারি জোরদারের সিদ্ধান্ত হয়। একই সঙ্গে পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সম্মিলিত অভিযান পরিচালনার আহ্বান জানানো হয়।
সভায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মাহবুবুল হকসহ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা, জেলা ও মহানগরের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধি, সুশীল সমাজ ও রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
একুশে সংবাদ/চ.প্র/এ.জে