AB Bank
  • ঢাকা
  • সোমবার, ০৪ আগস্ট, ২০২৫, ২০ শ্রাবণ ১৪৩২

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

গৌরীপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে অবৈধ নিয়োগ ও দুর্নীতির অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন



গৌরীপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে অবৈধ নিয়োগ ও দুর্নীতির অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

ময়মনসিংহের গৌরীপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে সদ্য সম্পন্ন হওয়া নিয়োগ প্রক্রিয়া এবং প্রধান শিক্ষক মো. শফিকুল ইসলামের বহাল থাকা নিয়ে অভিভাবক ও এলাকাবাসীর মধ্যে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে। এই প্রেক্ষাপটে ৪ আগস্ট (সোমবার) বেলা ১১টায় গৌরীপুর প্রেসক্লাব হলরুমে সংবাদ সম্মেলন করেন অভিভাবক মোস্তফা কামাল।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হাবিবুল ইসলাম খান শহীদ, পৌর কৃষকদলের সভাপতি শাহেদ মুন্সী ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য মুজিবুর রহমান।

অভিযোগে বলা হয়, বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক, কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর এবং নিরাপত্তাকর্মীসহ তিনটি পদে জুন-আগস্ট ২০২৪ সময়কালে নিয়োগ সম্পন্ন করা হয়। কিন্তু এসব নিয়োগে নিয়োগ বিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন, পক্ষপাতমূলক আচরণ এবং আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ রয়েছে। তৎকালীন ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র সৈয়দ মো. রফিকুল ইসলামের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় এসব অনিয়ম হয়েছে বলে দাবি করা হয়।

এ ঘটনায় ময়মনসিংহ যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ আদালতে একটি মামলা (মোকদ্দমা নম্বর ৭৭/২০২৪) চলমান রয়েছে।

সবচেয়ে বিতর্কিত হচ্ছে প্রধান শিক্ষক মো. শফিকুল ইসলামের বহাল থাকা। তিনি স্থানীয়ভাবে আওয়ামী লীগের সক্রিয় নেতা হিসেবে পরিচিত। অভিযোগ রয়েছে, বিগত জুলাই-আগস্ট মাসে একটি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা আন্দোলনে হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় তিনি আসামি ছিলেন এবং যৌথ বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হয়ে কিছুদিন জেল-হাজতে ছিলেন।

সরকারি চাকরি বিধি অনুযায়ী, কোনো কর্মচারী জেলে আটক হলে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা বাধ্যতামূলক। অথচ তিনি মুক্তি পাওয়ার পরও বহাল থেকে নিয়মিত বেতন-ভাতা ভোগ করছেন।

অভিযোগে আরও বলা হয়, নিয়োগ পরীক্ষার জন্য যথাযথভাবে কোনো বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়নি। সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটির মধ্যেই (৫–৭ আগস্ট) গোপনে পরীক্ষা ও নিয়োগপত্র ইস্যু করা হয়। একই দিনে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা নেওয়াও অনিয়মের আরেকটি দৃষ্টান্ত বলে উল্লেখ করা হয়।

এছাড়া, প্রশ্নপত্র সঠিকভাবে প্রণয়ন হয়নি এবং উপস্থাপনার মূল্যায়ন প্রক্রিয়াও অনুসরণ করা হয়নি। অভিযোগে আরও বলা হয়, নিয়োগপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সভাপতি রফিকুল ইসলামের ঘনিষ্ঠ আত্মীয় এবং অন্যান্য প্রার্থীদের সঙ্গেও পূর্ব পরিচয়ের ভিত্তিতে পক্ষপাত দেখানো হয়েছে।

শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে এসএসসি সনদ প্রদানের নামে জনপ্রতি ২০০ টাকা করে বিনা রসিদে আদায়ের অভিযোগও এনেছেন অভিভাবকরা।

এছাড়া তদন্ত নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে, কারণ অভিযুক্ত নিয়োগ কমিটির একজন সদস্যকে তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, যা স্বচ্ছ তদন্ত প্রক্রিয়ায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারে।

সংবাদ সম্মেলনে অভিভাবক মো. মোস্তফা কামাল বলেন, “আমরা চাই বিদ্যালয়ে স্বচ্ছ ও মেধাভিত্তিক নিয়োগ হোক। এই নিয়োগ শুধু আইনবহির্ভূত নয়, বিদ্যালয়ের সুনামও ধ্বংস করছে। তাই অনতিবিলম্বে নিয়োগ বাতিল করে নতুনভাবে নিরপেক্ষ প্রক্রিয়ায় নিয়োগ দিতে হবে।”

অভিভাবকরা প্রধান শিক্ষক মো. শফিকুল ইসলামের সাময়িক বরখাস্ত, বেতন-ভাতা স্থগিত এবং সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফিয়া আমীন পাপ্পা কোনো মন্তব্য করতে অপারগতা প্রকাশ করেন।

 

একুশে সংবাদ/ম.প্র/এ.জে

সর্বোচ্চ পঠিত - সারাবাংলা

Link copied!