ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে আপন মামার নেতৃত্বে সংঘবদ্ধ হামলায় দুই স্কুলপড়ুয়া শিক্ষার্থী ও এক গৃহবধূ গুরুতর আহত হয়েছেন। এ ঘটনা ঘটেছে গত ১৬ জুলাই পীরগঞ্জ সদর ইউনিয়নের ভাকুড়া গ্রামে।
ভুক্তভোগী রইসুল আলম বাদী হয়ে পীরগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেছেন। কিন্তু মামলা করার পরও অভিযুক্তরা ধারালো অস্ত্রসহ তার বাড়ির আশপাশে প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করে হুমকি দিচ্ছে। এতে পরিবারটি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে বলে বুধবার দুপুরে পীরগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন তারা। এ সময় আহত শিক্ষার্থীদের সহপাঠী ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা মানববন্ধনে অংশ নেন।
সংবাদ সম্মেলনে রইসুল আলম বলেন, “আমার আপন মামা আবুল কালাম আজাদের সঙ্গে দীর্ঘদিন জমিসংক্রান্ত বিরোধ ছিল। ১৬ জুলাই বিকেলে আমার দুই ছেলে ফাহিম শাহরিয়ার ও সাইদ হাসান কোচিং শেষে বাড়ি ফিরছিলো, সাইফুল ইসলামের বাড়ির সামনে তাদের উপর হামলা চালায় মামা আবুল কালাম আজাদ ও তার পরিবারের সদস্যরা। সাইদ হাসানের মাথায় ধারালো ছোরা দিয়ে কোপ মারে, মাথায় গুরুতর জখম ও ছয়টি সেলাই দিতে হয়েছে। আমার দুই মেয়ে মেহেরুন নেছা ও খতেজা বেগমকে মারধর করে এবং ফাহিমের গলা টিপে ধরে শ্বাসরোধ করে হত্যাচেষ্টা করে। আমি হামলার কথা শুনে ঘটনা স্থলে গেলে আমাকে মারধর করে, শ্লীলতাহানিও করা হয়।”
স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করলেও পরে অবস্থার অবনতি হলে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়।
রইসুল আলম আরও বলেন, “মামলার পরও অভিযুক্তরা অস্ত্র নিয়ে বাড়ির আশপাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে, যা আমাদের নিরাপত্তাহীনতার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমি প্রশাসনের কাছে আবেদন করছি, দোষীদের কঠোর শাস্তি এবং আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য।”
অভিযোগের বিষয়ে অভিযুক্ত আবুল কালাম আজাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।
পীরগঞ্জ থানার ওসি তাজুল ইসলাম বলেন, “মারামারির ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামীদের গ্রেপ্তারে পুলিশ কাজ করছে।”
একুশে সংবাদ/ঠা.প্র/এ.জে