নাটোরের বড়াইগ্রামে পৃথক দুই মহাসড়কে একই সময়ে দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে একজন নিহত এবং একজন আহত হয়েছেন।
শনিবার দুপুর ১টার দিকে উপজেলার নগর কয়েনবাজার এলাকায় বনপাড়া-কুষ্টিয়া মহাসড়কে একটি প্রাইভেটকার ও ব্যাটারিচালিত ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই মারা যান ভ্যানচালক আবুল হাশেম (৫৫)। তিনি উপজেলার জোয়াড়ি কাটাশকোল গ্রামের মৃত আবু বক্করের ছেলে।
অপরদিকে, একই সময়ে বড়াইগ্রাম থানার মোড় এলাকায় বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কে একটি মাইক্রোবাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাশের ধানের জমিতে পড়ে যায়। এতে চালক জিয়াদুর রহমান (২২) গুরুতর আহত হন। তার বাড়ি দাউদকান্দি উপজেলায়। আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে বড়াইগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বনপাড়া হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ ইসমাইল হোসেন জানান, দুর্ঘটনায় জড়িত প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাস জব্দ করা হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় আইনগত কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
উল্লেখযোগ্য যে, গত বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কের রয়না তরমুজ পেট্রোল পাম্প এলাকায় ট্রাক ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে মাইক্রোবাসটি দুমড়ে-মুচড়ে যায় এবং চালকসহ ৮ যাত্রী ঘটনাস্থলেই মারা যান। নিহতদের সবাই কুষ্টিয়া ও মেহেরপুর জেলার বাসিন্দা ছিলেন।
প্রসঙ্গত, বড়াইগ্রাম উপজেলায় মোট ৪৭ কিলোমিটার মহাসড়ক রয়েছে। অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের কারণে এসব মহাসড়কে ব্যাপক খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কটি দুই লেন বিশিষ্ট হওয়ায় যানবাহনের চাপে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে।
এ অবস্থায় দুর্ঘটনা প্রতিরোধে মহাসড়কগুলো চার লেনে রূপান্তর এবং দ্রুত সংস্কারের দাবি জানিয়েছে স্থানীয় সচেতন মহল।
একুশে সংবাদ/না.প্র/এ.জে