রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়ায় ‘শিশুদের যৌন শোষণ ও নিপীড়নের চক্র ভেঙে দেওয়া’ প্রকল্পের আওতায় নারী ও শিশু সুরক্ষা বিষয়ক এক গুরুত্বপূর্ণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (২৩ জুলাই) দুপুরে মুক্তি মহিলা সমিতির (এমএমএস) কনফারেন্স রুমে এ কর্মশালার আয়োজন করে এমএমএস। সহযোগিতা করে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা তেরে দেস হোমস (টিডিএইচ)।
কর্মশালার প্রধান অতিথি ছিলেন গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নাহিদুর রহমান। তিনি বলেন, "যৌনপল্লীতে বসবাসকারী নারী ও শিশুরা নানা ধরনের ঝুঁকির মুখে থাকে। তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আমাদের সকলের সম্মিলিত দায়িত্ব। এই ধরনের প্রকল্পগুলো সমাজে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে আমি মনে করি।"
বিশেষ অতিথি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. মারুফ হাসান বলেন, "নারী ও শিশুদের স্বাস্থ্যগত সুরক্ষাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যৌন নিপীড়নের শিকার শিশুরা শারীরিক ও মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে, এজন্য আগে থেকেই সচেতনতা গড়ে তোলা প্রয়োজন।"
মুক্তি মহিলা সমিতির নির্বাহী পরিচালক মর্জিনা বেগম বলেন, "আমরা দীর্ঘদিন ধরে নারী ও শিশুদের অধিকার নিয়ে কাজ করছি। এই প্রকল্পটি তাদের আত্মরক্ষায় সচেতনতা তৈরি করবে।"
টিডিএইচ-এর প্রকল্প ব্যবস্থাপক আকিব বিন আনোয়ার কর্মশালায় প্রকল্পের লক্ষ্য ও কার্যক্রম তুলে ধরেন। মৌলিক সুরক্ষা নির্দেশিকা পাঠ করেন টিডিএইচ-এর চাইল্ড প্রোটেকশন কো-অর্ডিনেটর জোনায়েদ মোহাম্মদ আতাউল্লাহ।
কর্মশালায় আরও বক্তব্য রাখেন এমএমএস-এর প্রজেক্ট অফিসার অনিন্দ কুণ্ডু, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. কবির হোসেন, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সালমা বেগম, দৌলতদিয়া মডেল হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. শহিদুল ইসলাম এবং নারী উদ্যোক্তা জাকিয়া সুলতানা।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মুক্তি মহিলা সমিতির সভাপতি শাহনাজ বেগম এবং সঞ্চালনায় ছিলেন প্রোগ্রাম ডিরেক্টর আতাউর রহমান মঞ্জু।
কর্মশালায় বক্তারা নারী ও শিশু সুরক্ষার পাশাপাশি সমাজে সচেতনতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন। বক্তৃতায় উঠে আসে—যৌন নিপীড়নের শিকার শিশুরা যেন দ্রুত সহযোগিতা পায় এবং সমাজে তাদের গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি পায়, সেজন্য এ ধরনের কর্মসূচি আরও বিস্তৃত করা জরুরি।
একুশে সংবাদ/রা.প্র/এ.জে