রামগঞ্জে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) আওতাধীন ওয়াপদা খালের পাশের কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের কাটাখালি থেকে লামচর ইউনিয়নের বেড়িবাঁধ সংলগ্ন বেড়ি বাজার ও ডাগ্গাতলী বাজার পর্যন্ত এলাকাজুড়ে বেদখল জমি উদ্ধারে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছে প্রশাসন।
বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে এ অভিযান পরিচালিত হয়। উচ্ছেদ অভিযানে উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুল ইসলাম, পানি উন্নয়ন বোর্ড রায়পুর-লক্ষ্মীপুর অঞ্চলের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী গোকুল চন্দ্র পাল, রামগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) দেবব্রত দাস, সেনাবাহিনীর সদস্য ও রামগঞ্জ থানা পুলিশ।
সাধারণ মানুষের অভিযোগ, এসব দোকানপাট ও স্থাপনা একদিনে গড়ে ওঠেনি। প্রশাসনের চোখের সামনে, প্রশাসনেরই কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীর মদদ ও সুবিধাভোগের কারণে দীর্ঘ সময় ধরে এসব অবৈধ স্থাপনা গড়ে ওঠে। আর এসব দোকান ছিল অনেকের স্বপ্ন, জীবিকা নির্বাহের একমাত্র অবলম্বন। এক নিমিষে সেই স্বপ্ন ভেঙে গেল, অনেক পরিবার রুটি-রুজির পথ হারাল।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন, অবৈধ স্থাপনা তৈরির পেছনে যারা মদদ দিয়েছে, তাদের বিচার হওয়া উচিত। তারা আরও দাবি জানান, ভবিষ্যতে যেন কেউ অবৈধভাবে এমন দোকান বা স্থাপনা গড়ে তুলতে না পারে, সে বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হোক।
এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুল ইসলাম বলেন, "আমাদের আজকের উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছে। এটি ভবিষ্যতেও চলমান থাকবে।"
একুশে সংবাদ/ল.প্র/এ.জে