মেয়ে ও জামাইকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়ানো অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন শ্বশুর দিনেশ চন্দ্র। বুধবার (২৩ জুলাই) দুপুরে ঠাকুরগাঁও শহরের একটি রেস্টুরেন্টে অনুষ্ঠিত ওই সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ প্রতিবাদ জানান।
দিনেশ চন্দ্র জানান, "কে বা কারা আমার মেয়ে ও জামাতার বিয়ের ছবি নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের হেয় করার চেষ্টা করছে। ফেসবুকে অপপ্রচার চালিয়ে বলা হচ্ছে আমার ২০ বছর বয়সী মেয়েকে ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এবং ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি সত্যজিৎ কুমার কুণ্ডুকে জোরপূর্বক বিয়ে দেয়া হয়েছে। এমনকি আমাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে মেয়েকে দখলে রেখেছে—যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। আমার মেয়ে সত্যজিৎ কুমার কুণ্ডুকে পছন্দ করতো। পরিবারের উপস্থিতিতে গত ৯ জুলাই হিন্দু ধর্মীয় রীতিতে বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে।"
তিনি আরও জানান, "আমার জামাতা ৫ জুলাই মেয়ের জন্মদিনে ভারত থেকে দেশে এসেছিলেন এবং ৬ জুলাই রথযাত্রা অনুষ্ঠানে তারা একসঙ্গে উপস্থিত ছিলেন। এসব বিষয়কে কেন্দ্র করে কিছু কুচক্রী মহল উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মিথ্যা প্রচার চালাচ্ছে। এই অপপ্রচারের বিরুদ্ধে আমার মেয়ে ও জামাতা ইতোমধ্যে ঠাকুরগাঁও পুলিশকে অবহিত করেছেন।"
জোরপূর্বক বিয়ে করার অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "আমার মেয়ে একজন প্রাপ্তবয়স্ক, সে সম্পূর্ণ স্বেচ্ছায় ও পারিবারিক সম্মতিতে বিয়ে করেছে। তাকে জোরপূর্বক বিয়ে দেওয়ার প্রশ্নই আসে না। বিয়ের রেজিস্ট্রেশনে আমার স্ত্রী নিজে উপস্থিত থেকে স্বাক্ষর করেছেন। আমার জামাতা সত্যজিৎ কুমার কুণ্ডু একজন সম্মানিত ব্যক্তি এবং সরকারিভাবে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছেন। তার মানহানি করার জন্য একটি মহল মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে, যার আমরা তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি।"
একুশে সংবাদ/ঠা.প্র/এ.জে