“জুলাই শহীদ দিবস” উপলক্ষে গণহত্যার বিচার, দায়ীদের রাজনীতি নিষিদ্ধ এবং রাষ্ট্র সংস্কারের দাবিতে কিশোরগঞ্জে গণপদযাত্রা করেছে গণঅধিকার পরিষদ। বুধবার (১৬ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২টায় শহরের পুরান থানা এলাকা থেকে পদযাত্রা শুরু হয়ে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে শেষ হয়।
পদযাত্রা শেষে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ। তিনি বলেন, “আজকের দিনে গোপালগঞ্জে পুলিশের গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও হামলা চালিয়েছে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ। দুপুরে আমাদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশস্থলেও ককটেল বিস্ফোরণ ও হামলা হয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। পুলিশ প্রশাসনের উপস্থিতিতে এমন হামলা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।”
তিনি আরও বলেন, “আজকের এই বর্বর হামলার দায় আওয়ামী লীগকে মাশুল দিতে হবে। ছাত্র-জনতা ও সব বিরোধী রাজনৈতিক দলকে নিয়ে সারাদেশে আওয়ামী লীগকে প্রতিরোধ এবং নিশ্চিহ্ন করার জন্য গণআন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।”
আবু হানিফ বলেন, “১৬ জুলাই বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি রক্তাক্ত অধ্যায়। রংপুরের শহীদ আবু সাঈদ, চট্টগ্রামের শহীদ ওয়াসিমরা পুলিশের গুলির সামনে বুক পেতে দিয়েছিলেন। তাদের আত্মত্যাগই জুলাই অভ্যুত্থানকে বেগবান করে এবং গণআন্দোলনের গতি নির্ধারণ করে দেয়।”
তিনি অভিযোগ করে বলেন, “আজও জুলাই গণহত্যার বিচার হয়নি। অসংখ্য আসামি এখনও ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের ক্ষমতার হিসাব-নিকাশে শহীদদের আত্মত্যাগ ভুলে যাচ্ছে। অথচ এই সময়েই আবারও ‘জুলাই ঐক্য’ গড়ে তুলতে হবে, যাতে আওয়ামী লীগ আবার ফিরে আসতে না পারে।”
গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সহ-দপ্তর সম্পাদক মোখলেছুর রহমান উজ্জ্বল বলেন, “এক বছরেও গণহত্যার কোনো আসামিকে গ্রেফতার করা হয়নি। প্রশাসন দায় এড়াতে পারে না। আমরা স্পষ্ট করে দিতে চাই—আওয়ামী লীগকে বিচারের মুখোমুখি না করে দেশে রাজনীতি করতে দেওয়া হবে না।”
পদযাত্রা-পরবর্তী সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন গণঅধিকার পরিষদ কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার সহসভাপতি শফিকুল ইসলাম। সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক অভি চৌধুরী। আরও বক্তব্য রাখেন—সহসভাপতি শহিদুল ইসলাম শহিদ, মাসুদুল ইসলাম সোহেল, আলহাজ্ব শামসুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইমতিয়াজ কাজল ও ইমরান হাসান, অর্থ সম্পাদক আশিকুর রহমান মাহফুজ, সহ-আইন সম্পাদক ফজল মোল্লা, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি সোহাগ মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক হাসান আহমেদ রমজান, ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি ইমন খান ও সাধারণ সম্পাদক পায়েল চৌধুরী, যুগ্ম সম্পাদক ফয়সাল এবং শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক প্রমুখ।
একুশে সংবাদ/কি.প্র/এ.জে