লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুরে এক তরুণীকে (১৪) তুলে নিয়ে জেলা শহরের একটি বাসায় সাতদিন আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে জয় কুড়ি (২৫) নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় আদালতে মামলা হলে তা শনিবার রেকর্ড করেন রায়পুর থানা পুলিশ। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত জয় কুড়িসহ তিনজনকে খুঁজছে পুলিশ।রোববার (৩১ আগষ্ট) সকালে রায়পুর থানায় এসআই মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা মিল্টন সাংবাদিকদের জানান। তিনি বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় মূল অভিযুক্তকে আটকের চেষ্টা চলছে।
অভিযুক্তরা ওই তরুণীকে শনিবার (৩০ আগষ্ট) সন্ধ্যায় রায়পুর শহরের মৎস্য প্রজনন ও প্রশিক্ষন কেন্দ্রের সামনে ফেলে যায় বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী তরুণী নিজেই। ওই তরুণী বর্তমানে রায়পুর সরকারি হাসপাতালের ডাক্তারের পরামর্শে নিজ বাড়ীতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
মামলার এজাহার সুত্রে জানাযায় , গত ২৫ আগষ্ট সন্ধায় বাসার সামনে থেকে তরুনীর মুখে রুমাল চেপে মাইক্রো বাস করে তুলে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে তরুণীকে সাতদিন আটকে রেখে শারীরিক নির্যাতন ও ধর্ষণ করেন শহরের পুর্বলাচ গ্রামের কামাল ভুইয়া সড়কের হনার বাড়ীর স্বর্ণ ব্যবসায়ী অনন্ত কুড়ীর ছেলে জয় কুড়িসহ ৩-৪ জন ব্যাক্তি। এ ঘটনায় জয় কুড়ীর খোঁজে তাদের বাড়ীতে গেলে তার পিতা ও মাতা খারাপ আচরন করে তরুণীর সাথে।
পরবর্তীতে শনিবার (৩০ আগষ্ট) রায়পুর শহরে মৎস প্রজনন ও প্রশিক্ষন কেন্দ্রের সামনে অসুস্থ অবস্থায় ফেলে পালিয়ে যায়। একজন পথচারী তাকে উদ্ধার করে রায়পুর সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে তার অভিভাবক ডাক্তারের পরামর্শে তাকে বাসায় নিয়ে যান।
পুর্বলাচ এলাকাবাসী জানান, অভিযুক্ত জয় কুড়ি তার বাবার সাথে শহরে স্বর্ণ ব্যাবসায় সহযোগিতা করে। দোকানে যেকোন সুন্দরী তরুনী আসলে তার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে তাদের সর্বনাশ করে। এই মেয়েটির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে সবর্নাশ করে দিলো।
এস আই মিল্টন বলেন, তরুনীর করা আদালতের মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে। নির্যাতিত তরুণীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। মামলার আসামি বখাটে জয় কুড়িসহ অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
একুশে সংবাদ/ল.প্র/এ.জে