উন্নয়নের ছোঁয়া যখন দেশের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে পড়ছে, তখনো কালিগঞ্জ উপজেলার ৩নং চাম্পাফুল ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের (নবীননগর থেকে বাঁশতলা মৎস্য আড়তের মুখ পর্যন্ত) প্রায় ৪.২ কিলোমিটার রাস্তাটি এলাকাবাসীর জন্য চরম দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বারবার সংস্কারের পরও রাস্তাটি দ্রুত ভেঙে পড়ায় স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে।
স্থানীয় বাসিন্দা, বিশিষ্ট সমাজসেবক ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী এম ডি. আলমগীর কবির জানান, এই ৪.২ কিলোমিটার দীর্ঘ রাস্তাটি এতটাই বেহাল যে, প্রতিদিন বাজারে যেতে তাদের ৬-৭ কিলোমিটার পথ ঘুরে যেতে হয়। এতে একদিকে যেমন মূল্যবান সময় নষ্ট হচ্ছে, তেমনই শ্রম ও অর্থের অপচয় হচ্ছে।
বিশেষ করে বর্ষাকালে এই রাস্তা একেবারেই চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে, যা এলাকার জনজীবনকে স্থবির করে তোলে। জরুরি রোগীদের হাসপাতালে নিতে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয়, এমনকি অনেক সময় সঠিক সময়ে হাসপাতালে পৌঁছানোও কঠিন হয়ে পড়ে। এছাড়া, এই বেহাল সড়কের কারণে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
চাম্পাফুল ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের জনগণ সম্মিলিতভাবে কালিগঞ্জ উপজেলার ইউএনও এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে এই গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি দ্রুত পূর্ণরূপে নতুন করে নির্মাণ করার জোর দাবি জানিয়েছেন। তারা চান একটি টেকসই ও স্থায়ী সমাধান, যা তাদের দীর্ঘদিনের দুর্ভোগের অবসান ঘটাবে।
একইসাথে এলাকার মানুষ সংবাদমাধ্যমের প্রতিও আহ্বান জানিয়েছেন এই জনদুর্ভোগের বিষয়টি তুলে ধরতে, যাতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়। এলাকাবাসীর একটাই স্লোগান— ‘আমাদের রাস্তা চাই, টেকসই ও স্থায়ীভাবে!’
একুশে সংবাদ/সা.প্র/এ.জে