জামালপুর শহরের নগর মাতৃসদন কেন্দ্রে স্বাভাবিক প্রসব করানোর সময় টানা-হেঁচড়ায় নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (৫ জুলাই) ভোরে পৌর শহরের পশ্চিম ফুলবাড়িয়া এলাকায় অবস্থিত মাতৃসদন কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।
নবজাতকের মা নওরিন জান্নাত মৌ (২১) সদর উপজেলার নারিকেলি এলাকার সোহেল আনসারীর স্ত্রী। পরিবারের অভিযোগ, মাতৃসদনে গাইনী চিকিৎসক না থাকায় নার্স ও আয়াই প্রসব করানোর চেষ্টা করেন, যার ফলে নবজাতকের মৃত্যু ঘটে।
জানা যায়, শুক্রবার (৪ জুলাই) সন্ধ্যায় প্রসব ব্যথা ওঠায় নওরিন জান্নাত মৌকে মাতৃসদনে ভর্তি করা হয়। রাতে কোনো চিকিৎসক না থাকায় নার্স শিরিন আক্তার ও আয়া ময়না বেগম মিলে স্বাভাবিক প্রসব করাতে গিয়ে নবজাতককে টানা-হেঁচড়া করে প্রসব করানোর চেষ্টা করেন। এ সময়ই শিশুটি মারা যায়।
নবজাতকের বাবা সোহেল আনসারী বলেন, "হাসপাতালে কোনো ডাক্তার ছিল না। নার্স ও আয়া দুজন মিলে টেনে হিঁচড়ে বাচ্চা বের করেছে, তাই সে মারা গেছে। বাচ্চার শরীরে একাধিক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।"
ঘটনার পর থেকেই মাতৃসদনের পরিচালকসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা গা ঢাকা দিয়েছেন বলে জানিয়েছে পরিবার।
ঘটনার বিষয়ে জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু ফয়সল মো. আতিক বলেন, "নার্স ও আয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"
এ বিষয়ে জামালপুরের সিভিল সার্জন ডা. মো. আজিজুল হক বলেন, "ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। তদন্ত করে দোষ প্রমাণিত হলে দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"
এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে এবং নবজাতকের পরিবারের সদস্যরা সুবিচার দাবি করেছেন।
একুশে সংবাদ//র.ন