চিত্রা নদীকে দূষণ ও অপদখলমুক্ত করতে কার্যক্রম শুরু করেছে ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসন। সোমবার (২৩ জুন) সকাল থেকে কোটচাঁদপুর উপজেলার দোড়া ইউনিয়ন অংশে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
পানি উন্নয়ন বোর্ড, ঝিনাইদহ-এর নির্বাহী প্রকৌশলী রঞ্জন কুমার দাস জানিয়েছেন, ধাপে ধাপে চিত্রা নদীর দুপাশে গড়ে ওঠা সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ঝিনাইদহ জেলার চিত্রা নদীর দৈর্ঘ্য ৫৭.৭৭ কিলোমিটার। এর মধ্যে মোট ৯৪টি অবৈধ স্থাপনা চিহ্নিত করা হয়েছে—কোটচাঁদপুরে: ৩৪টি, কালীগঞ্জে: ৬০টি ।
সম্প্রতি কোটচাঁদপুরের দোড়া ইউনিয়নে নদীর সীমানা নির্ধারণ করে জরিপ চালানো হয়। জরিপে দেখা যায়, নদীর মধ্যে ৩৪টি অবৈধ পুকুর ও একটি মন্দিরের আংশিক স্থাপনা রয়েছে। এসব অবৈধ স্থাপনার মালিকদের নোটিশ ও এলাকায় মাইকিং করে সর্তক করা হয়েছিল।
তবে দখলদাররা স্বেচ্ছায় স্থাপনা সরিয়ে না নেওয়ায় সোমবার থেকে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে প্রশাসন।
অভিযানে উপস্থিত ছিলেন:কাজী আনিসুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), কোটচাঁদপুর,রঞ্জন কুমার দাস, নির্বাহী প্রকৌশলী, পানি উন্নয়ন বোর্ড, ঝিনাইদহ,গোলাম মর্তুজ আলী, সার্ভেয়ার, জাকির হোসেন, ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা, এসআই কবির হোসেন, লক্ষীপুর পুলিশ ফাঁড়ি, কোটচাঁদপুর ।
নির্বাহী প্রকৌশলী রঞ্জন কুমার দাস বলেন,“প্রায় ২০ দিন আগে সীমানা নির্ধারণ করে দখলদারদের নোটিশ দেওয়া হয়। সোমবার থেকে অবৈধ পুকুরগুলো ভেঙে নদীর মূল প্রবাহে ফিরিয়ে দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। তিন দিনের মধ্যে পুরো এলাকাটি দখলমুক্ত করার লক্ষ্য রয়েছে।”
তিনি আরও জানান,“স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় এখন পর্যন্ত কোনো সমস্যা হয়নি। দখলদাররা বাধা দেয়নি, তাই তাদের বিরুদ্ধে মামলার প্রয়োজন দেখা দেয়নি। তবে পর্যায়ক্রমে নদীর পাশের সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে।”
একুশে সংবাদ/ঝি.প্র/এ.জে