বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম। ছাত্র রাজনীতির সকল পর্যায়ের নেতৃত্বে থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষ করেন। বিগত ২৫ বছর যাবৎ তিনি মুকসুদপুর-কাশিয়ানী এলাকার মানুষের সুখ-দুঃখের সাথী হয়ে রাজনৈতিক, সামাজিক ও ধর্মীয় অঙ্গনে অসাধারণ নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন। তাঁর ব্যক্তিত্বে যে বৈচিত্র্য ও গভীরতা আছে, তা তাঁকে একজন আদর্শ সংসদীয় আসনের নেতা হিসেবে উপযুক্ত বলে মনে করেন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুস ছালাম খান বলেন, সেলিমুজ্জামান সেলিম ভাই একজন ধর্মভীরু মানুষ। তিনি সকল ধর্মের মানুষকে সমানভাবে মূল্যায়ন করেন। তাঁর সততা, বিনয় ও নম্রতা তাঁকে একজন আদর্শ ধর্মভীরু নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। তিনি পরনিন্দা, গীবত ও অহংকার থেকে বিরত থেকে ইসলামী আদর্শে জীবন পরিচালনা করেন এবং অন্যদেরও অনুসরণে উদ্বুদ্ধ করেন।
উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. তারেকুল ইসলাম রাজু বলেন, সেলিমুজ্জামান সেলিম ভাইয়ের নেতৃত্বে এলাকার তরুণরা রাজনীতিতে আগ্রহী হয়েছে, দল হয়েছে শক্তিশালী ও ঐক্যবদ্ধ। তিনি কেবল নির্দেশ দেন না— নিজে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে প্রেরণা জোগান। কর্মীদের মধ্যে আস্থা ও সাহস জাগাতে পারা তাঁর বড় শক্তি। তাঁর নেতৃত্বগুণে মুকসুদপুর-কাশিয়ানীর বিএনপি আজ শক্তিশালী ও গতিশীল হয়েছে।
পৌর বিএনপির সভাপতি আবুল বাশার টুলটু বিশ্বাস করেন, রাজনীতি মানে উন্নয়ন ও মানুষের জীবনমান পরিবর্তন। রাস্তাঘাট, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি— প্রতিটি খাতের জন্য তাঁর রয়েছে স্পষ্ট পরিকল্পনা ও কর্মপ্রয়াস। তাঁর উন্নয়নমুখী মানসিকতা ও দূরদর্শী পরিকল্পনা তাঁকে এলাকার একজন "ভবিষ্যৎ নির্মাতা" রূপে গড়ে তুলেছে।
মুকসুদপুর পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান মিন্টু বলেন, একজন সংসদীয় নেতার যা যা গুণ থাকা দরকার, তা সেলিমুজ্জামান সেলিম ভাইয়ের মধ্যে বিদ্যমান। তিনি জাতীয় ইস্যুতে সাহসী অবস্থান নিতে পারেন। ছাত্র রাজনীতির সময় থেকেই নিজ এলাকার সমস্যা জোরালোভাবে তুলে ধরে আসছেন। তিনি জানেন কখন কথা বলতে হয়, আর কখন জনগণের জন্য কাজ করতে হয়। এক কথায় বলতে হলে বলতে হয় তিনি, জনগণের কণ্ঠস্বর ও জাতীয় চিন্তার ধারক।
উপজেলা বিএনপির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক এম. ওহিদুল ইসলাম বলেন, সেলিমুজ্জামান সেলিম ভাই গরিব-দুঃখীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন নিরলসভাবে। এলাকায় অসুস্থ রোগীর চিকিৎসা, দরিদ্র শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার খরচ, বন্যা ও দুর্যোগে ত্রাণসেবা— সবখানেই তাঁর সহায়তার হাত প্রসারিত।
পৌর যুবদলের আহ্বায়ক মো. সাইফুজ্জামান লিটন বলেন, সেলিমুজ্জামান সেলিম ভাই সমাজের প্রতিটি স্তরের মানুষের প্রতি আন্তরিক ও দয়ালু। এই গুণই তাঁকে সকলের প্রিয় নেতা বানিয়েছে।
উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মেহেদী হাসান বিপ্লব বলেন, বিগত ১৭ বছর ধরে সেলিমুজ্জামান সেলিম রাজপথে স্বৈরাচার পতনের আন্দোলন থেকে শুরু করে সকল আন্দোলন ও প্রতিবাদে সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়ে নিজ দলের আদর্শ প্রতিষ্ঠায় নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।
উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আব্দুল কাইয়ুম মুন্সি বলেন, সেলিমুজ্জামান সেলিম ভাই স্বৈরাচার পতন আন্দোলন থেকে শুরু করে সকল আন্দোলনে ভয়, হুমকি ও প্রতিকূলতা সত্ত্বেও কখনো পিছপা হননি। তাঁর মাঝে রয়েছে সাহস, সংকল্প এবং ত্যাগের বিরল দৃষ্টান্ত।
ইনশাআল্লাহ, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গোপালগঞ্জ-০১ (মুকসুদপুর-কাশিয়ানী) আসন থেকে সেলিমুজ্জামান সেলিম দলীয় মনোনয়ন পাবেন— এমন প্রত্যাশা দলের নেতা-কর্মীদের।
একুশে সংবাদ/গো.প্র/এ.জে